দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের একটি দোকানে ডাকাতি শেষে সন্ত্রাসীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের এমদাদুল হকের পরিচয় মিলছে না।
শনিবার (২১ জুন) পাসপোর্টে দেওয়া ঠিকানা ধরে খোঁজ করলে স্থানীয় লোকজন নিহত এমদাদুল হক নামে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান।
এমদাদুল হকের পাসপোর্টে তার বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে। তার বাবার নাম শফিকুল আলম এবং মায়ের নাম তাসলিমা।
মির্জাপুর গ্রামের যুবক তাজুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় নিহত যুবক এমদাদুল হকের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জেনেছি। আমি মির্জাপুর এলাকায় অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট আবেদনের কাজ করি। এই এলাকার সকলেই আমার পরিচিত। এমদাদুল হক নামে কাউকে আমি চিনি না আমিও সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেছি এই নামে কেউ আছে বলে আমার জানা নেই। বিভিন্ন সময় দেশের বাহিরে কেউ মারা গেলে পরিবারের সদস্যরা লাশ ফেরত পেতে আবেদনের জন্য আমার কাছে আসে। এমদাদুলের বিষয়ে কেউ এখন পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি।
চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, শুক্রবার থেকে স্থানীয় প্রশাসন সহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়েছে। আমি তখন থেকে প্রত্যেক ওয়ার্ডের মেম্বারদের বিষয়টা জানিয়েছি কেউ এমদাদুল হক কে চিনতে পারেনি। মির্জাপুর গ্রামের এমদাদুল হক নামে কেউ দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকেনা। তারপরও আরও খোঁজ নেব।
এদিকে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্টে থাকা আইডি নাম্বারে খোঁজ করলে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপিতে এমদাদুল হকের বাড়ি ঢাকার কাফরুল থানার শেওড়াপাড়া এলাকায় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন প্রদেশের বুষ্টারের ডিডোরেন্স এলাকায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় প্রবাসী বাংলাদেশি মালিক মনির হোসেনের দোকানে কর্মরত ছিলেন বিল্লাল ও এমদাদ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাকাত দল দোকানে ঢুকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে লুট করে নেয় টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী। ডাকাতি শেষ করে যাওয়ার সময় সরাসরি গুলি করে খুন করে যায় এমদাদুল ও শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার বিল্লাল হোসেনকে।
আরটিভি/এএএ/এস