কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় র্যাবের অভিযানে ৬৭টি কড়ি কাইট্টা কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার কচ্ছপগুলো বিক্রির খবর পেয়ে উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজারে ক্রেতা সেজে অভিযান চালায় র্যাব। পরে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলো ভেড়ামারা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হলে বিকেলে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকার।
তিনি বলেন, দুপুরে জানতে পারি উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজারে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে। এরপর র্যাবের একটি দল ক্রেতা সেজে ওই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ১১টি বড় ও ৫৬টি ছোট বিলুপ্ত প্রজাতির কড়ি কাইট্টা কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। সাধারণত কড়ি কাইট্টা কচ্ছপ ভারতে বেশি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্র করে একই এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে মাহি (২০) কচ্ছপগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছিল। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে কচ্ছপগুলো উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমরা কচ্ছপগুলোকে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করেছি।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, দুই থেকে তিন দশক আগেও দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদি জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর কাছিম দেখা যেত, তবে বাসস্থান ধ্বংস ও ক্রমাগত শিকারের কারণে এই জলজ প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।
তিনি বলেন, দেশে যতগুলো কচ্ছপের প্রজাতি রয়েছে, নানা কারণে তার সবগুলোর অস্তিত্বই কমবেশি হুমকির মুখে। প্রাণীটি বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর অনুযায়ী কচ্ছপ সংরক্ষিত প্রাণী। তাই এটি শিকার, হত্যা বা এর কোনো ক্ষতিসাধন করা ২০১২ এর ধারা ৬ এবং ৩৪(খ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
আরটিভি/এমকে -টি