• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
জয়দেবপুরে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
তুরাগ তীরে জুবায়েরপন্থীদের ৫ দিনের ‘জোড় ইজতেমা’ শুরু
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের ওলামা ও শীর্ষ মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। তাবলিগের জামাতের ওলামাদের অধীনে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই জোড় ইজতেমা। ৩ ডিসেম্বর আখেরি দোয়ার মাধ্যমে শেষ হবে জোড় ইজতেমা। প্রতিবছর ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় ইজতেমার আয়োজন করা হয়। এই জোড় ইজতেমায় দেশি, বিদেশি, ৩ চিল্লার সাথী ও কমপক্ষে ১ চিল্লায় সময় লাগানো আলেমরা অংশ নেন। মূলত কালিমা, নামাজ ও জিকির, ইকরামুল মুসলিমিন, তাসহীহেনিয়ত ও তাবলিগের ৬ উসূলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর বাদ ফজর গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন পাকিস্তানের নাঈম শাহ সাহেব।   এরপর কারগুজারীর আমল হয়। পরে জুমার নামাজ পড়ান কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের। বাদ জুমা বয়ান করেন মাওলানা রবিউল হক, বাদ আসরের পর বয়ান করেন মাওলানা ওমর ফারুক, বাদ মাগরিব কারগুজারী আমল হয়।   জোড় ইজতেমা উপলক্ষে দেশ বিদেশের ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিদের সেবায় নিরাপত্তা বলয়ে নিয়োজিত রয়েছে সাদা পোশাকে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়াও ময়দান ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রথম পর্বের জোড় ইজতেমায় অংশগ্রহণ করছেন মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা। এরপর ২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে ২৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পর্বে জোড়ে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন মাওলানা সাদপন্থীরা। আরটিভি/এমকে
কাশিমপুরে ফ্ল্যাট থেকে ২ যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
গাজীপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত ১
নিখোঁজের ৩ দিন পর বাসচালকের মরদেহ উদ্ধার
বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানো যুবক-যুবতীর মরদেহ উদ্ধার
মাটি খুঁড়তেই মিলল ১৬ গ্রেনেড, অতঃপর...
গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ ছায়াবীথি এলাকায় বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া ১৬টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা এসে গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদুজ্জামান। তিনি বলেন, গাজীপুরে ছায়াবীথি এলাকায় মাটি খননের সময় বিস্ফোরক জাতীয় কিছু একটা পাওয়া গেছে এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পুরো টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসে আমরা দেখতে পাই একটি ভাঙা মটকার ভেতর প্রচুর শক্তিশালী গ্রেনেড যাকে আর্জেস গ্রেনেড বলা হয়। তিনি বলেন, এ স্থানটি আমাদের টিমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। যে কারণে আমাদের রোবট দিয়ে প্রথমে যেসব গ্রেনেড আছে, সেগুলো দেখার চেষ্টা করি অক্ষত আছে কি না। পরে সব গ্রেনেড আলাদা করা হয়। গ্রেনেডগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরে ইউনিটের দুজন সদস্য বম্ব স্যুট পরিধান করে লেগে থাকা প্রতিটি গ্রেনেডকে আলাদা করেন। মাহমুদুজ্জামান আরও বলেন, নিষ্ক্রিয় করা গ্রেনেডগুলো মাটির মটকার ভেতর পলিথিন দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। এ জাতীয় গ্রেনেড ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। এগুলো খুবই শক্তিশালী। তবে গ্রেনেডগুলো কত সালে এবং কোন দেশের তৈরি তা দেখা যায়নি। ঢাকায় বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কাছে এর নমুনা পাঠানো হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বিষয়গুলো জানা যাবে। গ্রেনেডগুলো কারা কখন কীভাবে রেখেছে, তা তদন্তের পরই জানা যাবে। স্থানীয়রা জানান, জেলা শহরের দক্ষিণ ছায়াবীথির বোম্বাইবাড়ি এলাকায় সৌদিপ্রবাসী আবুল কাশেম চার বছর আগে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে তিন কাঠার একটি প্লট কেনেন। তিনি সেখানে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করার জন্য মাটি কাটার কাজ করাচ্ছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকরা মাটি কাটতে গিয়ে প্রায় চার ফুট গভীরে একটি মটকা দেখতে পান। কোদাল দিয়ে আঘাত করার পর মটকাটি ভেঙে গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখতে পান তারা। পরে আতঙ্কিত হয়ে কাজ বন্ধ করে বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। বাড়ির মালিক পুলিশকে খবর দেন। বাড়ির মালিক আবুল কাশেম বলেন, ‘শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি জানায়। পরে প্রথমেই ‘৯৯৯’ এ কল দিই।’ সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, ‘গ্রেনেডসদৃশ কিছু বস্তু পাওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশের লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। জায়গাটির গেটে তালা দিয়ে ঢাকায় বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়। পেরে তারা গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।’
হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু
গাজীপুরে হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগীর মর্মান্তিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  মমতাজ বেগম কাপাসিয়া উপজেলার বারিগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিনের মেয়ে। মমতাজের মামা শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, আজ সকাল ৬টার দিকে অসুস্থতার কারণে মমতাজকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তিনি এবং মমতাজের ছেলে মান্নান (২৫) ও মেয়ে শারমিন (২০)।  বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের ১১ তলা থেকে চতুর্থ তলায় ডাক্তার দেখাতে লিফটে করে নামার সময় হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় লিফটে ১৮ থেকে ২০ জন মানুষ ছিলেন। তারা ৪৫ মিনিট লিফটের ভেতর আটকে থাকেন। পরে হাসপাতালের লোকজন ৯ তলায় লিফট ফাঁকা করে তাদের বাইরে বের করে আনেন। তবে বের হওয়ার আগেই মমতাজ মারা যান। লিফটে আটকে থাকা আলাউদ্দিন নামে হাসপাতালের এক কর্মী মমতাজকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম  গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ থেকে ৪ তলায় নেওয়ার জন্য লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকেন। পরে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে উদ্ধার করেন। লিফটে আটকা সবাই সুস্থ ছিলেন, কিন্তু উনি অসুস্থ থাকায় মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। 
গাজীপুরে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
গাজীপুরের বাইমাইল এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।  শুক্রবার (১০ মে) রাত পৌনে ৯টায় গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের মারফত আলীর ছেলে মনজুর সরকার (৩৮) ও বগুড়ার মোকামতলা এলাকার এহসান হাসান (৪২)।  জানা যায়, নিহত মনজুর গাজীপুরের মহানগরের কোনাবাড়ীর এশরারনগর হাউসিং এলাকায় ও এহসান হাসান হরিণাচালার এলাকায় বসবাস করতেন। আহত আব্দুল হামিদের (৪৫) বাড়ি পাবনায়। তিনি হরিণাচালায় বসবাস করতেন। তারা তিনজনই এলাকায় ঝুট ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার কিছু সময় পর কোনাবাড়ী থেকে মোটরসাইকেলে করে মনজুর সরকার, এহসান হাসান ও আব্দুল হামিদ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ধরে গাজীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাইমাইল ব্রিজের ওপর পৌঁছালে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।  এতে তিন আরোহী মহাসড়কের ওপর পড়ে যান। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মনজুর সরকার ও এহসান হাসান ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আব্দুল হামিদ গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা নিশ্চিত না। তবে ধারণা করছি কোনো গাড়িচাপায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের ফেসবুক আইডি হ্যাক
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট ও জেলা প্রশাসকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমানে একাউন্ট দুটি আনভিজিবল হয়ে আছে। বিষয়টি প্রথমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন। যদি দুটি একাউন্ট থেকে কোনো বিভ্রান্তিকর পোস্ট বা অন্য কোনো কনটেন্ট প্রকাশ পায় তাহলে তাতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন তিনি।
গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রকৌশলীর
গাজীপুরের পূবাইলের মীরের বাজার এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় শাহাদাত হোসেন মুন্না (২৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।  বুধবার (১ মে) সকালে মীরের বাজার এলাকার গাজীপুর-গাউছিয়া বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদাত হোসেন ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার রামগতি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি গাজীপুর-গাউছিয়া ঢাকা বাইপাস সড়ক উন্নয়ন প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহাদাত হোসেন মোটরসাইকেলে করে গাজীপুর যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবোঝাই একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পূবাইল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, শাহাদাত হোসেনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়েছে।  এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গাজীপুরে স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
অপহরণের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে সাতজনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী এ রায় দেন। রায়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সেলিম (২২), আব্দুল্লাহ আলম মামুন (১৯), শাহ আলম (২৯), মো. রিপন মিয়া (৩০), মো. মিলন খন্দকার (২৪), মো. তানজিল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২২)। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেলিম, রিপন খন্দকার ও মো. তানজিল। শাহ আলম ও মিলন খন্দকার জামিন নিয়ে পলাতক এবং শফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সোহেলের বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি সোহেলের সন্ধান লাভের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেন। ১০ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুর থানার লুটিয়ারচালা গ্রামের মিনারদাগ নামক স্থানে গজারী বনের ভেতরে ছেলের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান। পরে খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা খুনিরা অজ্ঞাত কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে মো. সোহেলকে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার পথে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারপিট করে গলায় প্লাস্টিকের সুতো প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য মরদেহ ঘটনাস্থল লুটিয়ারচালা এলাকার মিনারদাগ গজারী বনের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হাসান তদন্তের পর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সাত আসামিকে সাজা প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মাহবুব আলম মামুন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট লাবিব সিদ্দিকী।