• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শ্রীপুরে মামার ছুরিকাঘাতে ভাগনে নিহত
শ্রীপুরে ম্যাট্রেস কারখানার গুদামে আগুন, মালামাল পুড়ে ছাই
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি ম্যাট্রেস কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখন্ড (মাওনা চৌরাস্তা) এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় ম্যাট্রেস কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুরে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর মাহামুদুল হাসান অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হঠাৎ করে কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে গুদামে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়। আগুন মুহূর্তেই পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। কারখানা মালিক পারভেজ বলেন, তিনি পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ভাড়া নিয়ে ম্যাট্রেস তৈরির কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। আগুনে তার সহায় সম্বল শেষ হয়ে গেছে। আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব কি না জানি না। আরটিভি/এএএ 
গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় নারী শ্রমিক নিহত
৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আইইউটির ৩ দিনের শোক
শ্রীপুরে বাসের ধাক্কায় নারী পোশাকশ্রমিক নিহত
পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত: তদন্ত কমিটি গঠন
পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১০
গাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পিকনিক বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।  শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামের স্থানীয় চায়না কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। নিহতরা হলেন, মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)। তারা প্রত্যেকে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষাথী। তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আফসার উদ্দিন (৭০) জানান, গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ৪৬০ শিক্ষার্থী ওই এলাকার মাটির মায়া রিসোর্টে ৬টি বিআরটিসি দোতলা বাস এবং তিনটি মাইক্রোবাস নিয়ে পিকনিকে আসেন। তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে পৌঁছানো মাত্র সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইনে ৫ নাম্বার বাস বিদ্যুতায়িত হয়। এতে তিন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। একজন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। বাকি দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। আহতদের কারও হাত, কারও পা, কারও মুখ ঝলসে গেছে। অপর প্রত্যক্ষদর্শী শামীম আহমেদ, রুবেল মিয়া ও জাকির হোসন জানান, ৫টি বাস রিসোর্টে চলে যায়। শেষের বাসটি সড়কের পাশের ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় বাস থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকলে ছাত্ররা চিৎকার শুরু করেন। আমরা তাদের চিৎকার শুনে বাসের কাছে যাই। এ সময় তিনজন বাস থেকে নেমে বের হওয়ার চেষ্টা করলে একজনের মৃত্যু হয়। অপর দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। পরে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ বন্ধ করতে বললে তারা বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। তা না হলে, আরও অনেক ছাত্রের মৃত্যু হত। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান, ওই লাইনটি ১১ হাজার ভোল্টেজের ছিল। সড়কের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন ক্রস করা অবস্থায় রয়েছে। একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে দোতলা বাসটি একটু হেলে পড়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, পিকনিক বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন ছাত্রের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি। আরটিভি/এফআই
চোর সন্দেহে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে যুবককে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশা চুরির অভিযোগে এক যুবককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে একজনকে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটির কাইচ্চাগড় এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল। নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম মিন্টু মিয়া (২৫)। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকা বহেরারচালা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। নির্যাতনের ভিডিওটি তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশের নজরে এলে অভিযান চালিয়ে রাত ১০টার দিকে জড়িত একজনকে আটক করা হয়। তবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ভিডিওতে দেখা যায়, হলুদ শার্ট ও লুঙ্গি পরা এক যুবককে ঘরের বারান্দার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়েছে। সাদা টি-শার্ট ও নীল জিন্সের প্যান্ট পরা আরেক যুবক তার দুই পা টেনে নির্যাতন চালাচ্ছেন। একপর্যায়ে ছেলেটির পায়ের ওপর ওঠে লাফালাফি করতেও দেখা গেছে। এসময় ‘ও মা, মাগো’ বলে চিৎকার করলে মারধরের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন নির্যাতনকারীরা। এদের মধ্য থেকে কয়েকজন নির্যাতনকারীদের মারধর করতে নিষেধ করলেও তারা শোনেননি। পরে ছেলেটির বাঁধন আরও শক্ত করে চুরির স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ আরটিভি/এমকে/এস
লরি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ২
গাজীপুরের শ্রীপুরে লরির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার উপজেলার শ্রীপুর-কাপাসিয়া আঞ্চলিক সড়কের লতিফপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল হক সরকার (৪৫) উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে, অপর নিহত ও আহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার এনামুল হক সরকারসহ আরও তিন সহযোগী রাজমিস্ত্রী কাজে যান। বিকেলে ওই চারজন এক মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে গোসিঙ্গা বাজারের দিকে আসছিলেন। এ সময় তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লতিফপুর এলাকায় পৌঁছলে গোসিঙ্গা বাজার থেকে কাপাসিয়াগামী ইটবোঝাই একটি লড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের চার আরোহী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এনামুল হক সরকারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়রাজ বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরটিভি/এএএ/এআর
৩ মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার খুলছে সাফারি পার্ক
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় গাজীপুরে অবস্থিত সাফারি পার্কে। এরপর থেকেই পার্কটি বন্ধ রয়েছে। তবে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) থেকে পার্কটি খুলে দেওয়া হচ্ছে। পর্যটন মৌসুম বিবেচনায় সাময়িকভাবে দর্শনার্থীদের উপযোগী করে পার্কটি খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন সহকারী বন সংরক্ষক ও পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) রফিকুল ইসলাম। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আমরা পার্কটি চালু করছি। ইজারাও প্রক্রিয়াধীন। এর আগ পর্যন্ত বন বিভাগ পার্কটির ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করবে। তিনি আরও বলেন, আগের নাম বহাল থাকলেও গাজীপুর সাফারি পার্ক নামে কার্যক্রম চালানো হবে। আরটিভি/এএএ/এসএ
শ্রীপুরে স্কুলের দেড়শ বছরের পুরনো গাছ বিক্রির অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে
গাজীপুরের শ্রীপুরের প্রহলাদপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে প্রায় দেড়’শ বছরের পুরনো দেবদারু গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। গাছের ছায়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকালে পিটি করতো এবং টিফিনের সময় গাছের নিচে বসে বিশ্রাম ও গল্প করতো। পুরনো গাছটি বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবেও কাজ করতো। দেবদারু গাছটি বিদ্যালয় তথা এলাকার ঐহিত্য হিসাবে অনেকেই পরিচয় দিতো। প্রভাবশালীদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন কোনো কথা বলতেও সাহস পায় না। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিলে তিনিও ভয়ে তাদের নাম বলতে চাচ্ছেন না। গত ২৫ অক্টোবর স্থানীয় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এলাকার প্রভাবশালীরা দেড়শ বছরের পুরনো দেবদারু গাছটি কেটে ফেলে। গাছটি স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী জালাল মোল্লার কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় তারা। গাছের গোড়ার অংশ এখনো তোলা হয়নি। স্থানীয়রা বলেন পুরনো ওই গাছটি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেতো। তবে বিক্রেতারা মাত্র ১৩ হাজার টাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিয়ে রিসিট নিয়েছেন। বাকি ৭ হাজার টাকা গাছ কাটা বাবদ খরচ করা হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার, মিথি, মুন্নি, তুহীন হাসান, আজিজুল ইসলাম বলেন, গাছ থাকলে আমরা ছায়া পেতাম। গাছের ছায়ায় আমরা সকালে পিটি করতাম এবং টিফিনের সময় বিশ্রাম নিতাম। গাছ কেটে নেওয়ায় আমরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলাম।   মাঠের পাশের দোকানদার আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় দুই’শ বছরের পুরনো দেবদারু গাছ থেকে পাতা নিয়ে এলাকার মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানে গেট তৈরি করতো। গাছটি মাঠের সৌন্দর্য বর্ধন করতো। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বড় করার নামে দেড়শ বছরের পুরনো গাছটি কেটে ফেলার জন্য প্রভাবশালীরা অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এলাকার কিশোর কাইয়ুম হোসেন, কাউছার হোসেন, আনাছ, কচি, শওকত, রাখালিয়া গ্রামের মিনহাজ নিজেরাই মিটিং করে। একপর্যায়ে শিক্ষকদের চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতির হুমকি দিয়ে শিক্ষকদের চাপ প্রয়োগ করে বিদ্যালয়ের সামনের দেবদারু গাছ কাটার জন্য রেজুলেশন করিয়ে নেয়। তারা দেবদারু গাছ কাটার পক্ষে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকার প্রায় শতাধিক লোকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন।  সরকারি নীতিমালা না মেনে অবৈধভাবে বন্ধের দিন শুক্রবার স্কুল মাঠের দেবদারু গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়ায় বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, সাবেক ছাত্র এবং এলাকার সচেতন মহলে আলোচিত হলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান স্থানীয়রা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, রবিবার (২৭ অক্টোবর) শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে প্রভবশালী পাশের কদমা গ্রামের মমিন মোল্লা, জিয়াউর রহমান, নাজিম উদ্দিন মোল্লা, হালিম মোল্লা এবং কাঠ ব্যবসায়ী জালাল মোল্লা তাকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। অভিযুক্তের একজন নাজিম উদ্দিন মোল্লা জানায়, অত্র এলাকায় কোন খেলার মাঠ নেই। প্রতিদিন বিকেলে এলাকার ছাত্র-যুবকেরা এ মাঠেই খেলাধুলা করে থাকে। গাছটি পুরনো হলেও স্কুলের সামনে এবং মাঠের মধ্যে থাকায় খেলাধুলা করতে সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এলাকার সকলের মতামতের ভিত্তিতে পুরনো এ গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার বন্ধের দিন গাছ কেটেছে। আমাকে স্থানীয় একজন ফোন দিয়ে বলে গাছ কেটে ফেলেছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতিসহ এলাকার গণ্যমাণ্যদেরকে জানিয়েছেন। দুদিন পর রবিবার বিদ্যালয়ে এসে অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তারা আমার কাছে ১৩ হাজার টাকা জোড় করে জমা দিয়ে রিসিট নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের (০১৭১২-২৮ ৪২৯৪) মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় এসব বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, আমাদের অনুমতি না নিয়েই গাছটি কেটে নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী একত্র হয়ে প্রধান শিক্ষককে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাছটি কেটে নেয় বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছে। আমি উনাকে বলেছি যারা গাছ কেটে নিয়েছে তাদের নাম দেওয়ার জন্য। নাম দিলেই আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা করবো। আরটিভি/এআর
আপত্তিকর অবস্থায় পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী, অতঃপর...
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী তাসলিমার (২৮) সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী আজিজুল হক (৩০)। এ সময় নিজের স্ত্রীকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন তিনি।  সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভার বকুলতলা (চন্নাপাড়া) এলাকায় আজিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জয়নাল আবেদীন মণ্ডল। নিহত আশরাফুল বিশ্বাস ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার আসগ্রাম গ্রামের ওয়াহাবের ছেলে। তিনি স্থানীয় এস এস ফ্যাশন পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। আজিজের আহত স্ত্রী তাসলিমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজিজ-তাসলিমা দম্পতির ৬ ও ৪ বছরের দুটি সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত আজিজ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি প্রায় এক যুগ আগে চন্নাপাড়া এলাকায় জায়গা কিনে বসতবাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার। ঘটনার পর থেকে আজিজুল পলাতক রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, আজিজের স্ত্রী তাসলিমা বাড়ীর পাশেই এস এস ফ্যাশন পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। ওই কারখানায় চাকরি করার সুবাদে মালিক পক্ষের আশরাফুল বিশ্বাসের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং আশরাফুল বিভিন্ন অযুহাতে তাসলিমার বাসায় আসা যাওয়া করতো। তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর সন্দেহ হলে স্বামী আজিজ তাসলিমাকে একাধিকবার নিষেধ করে। পরে ওই কর্মকর্তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক নাই বলে স্বামীর কাছে অস্বীকার করে। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে আজিজ কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বাসায় ফিরে ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলেন। পরে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন তিনি। এ সময় খাটের নিচ থেকে ধারালো দা নিয়ে প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে এলোপাতাড়ি কুপালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্ত্রীর ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন তিনি। চিকিৎকার শুনে স্থানীয়রা তার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, ‘পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামী পরকীয়া প্রেমিক ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছেন। এত ঘটনাস্থলেই প্রেমিক আশরাফুল মারা যান। আহত তাসলিমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ আরটিভি/এমকে আরটিভি/এমকে-টি