• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বিএনপি নেতার স্ত্রীকে আ.লীগ নেতার ধর্ষণ
কেটে ফেলা হলো ‘কথা বলা’ সেই গাছ 
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গুজবে কান দিয়ে ‘কথা বলা গাছ’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গাছে কান পাতলে নারী কণ্ঠে তারা কথা শুনতে পাচ্ছেন। বিষয়টিকে গুজব ও ভুয়া দাবি করে আলোচিত সেই গাছটিকে কেটে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন।  শনিবার (২২ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান।  তিনি বলেন, ‘গাছে কথা শোনা যায় বিষয়টি গুজব। আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর আমরা ওই এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখি। বিষয়টি আমাদের কাছে ভুয়া মনে হয়েছে। এ ছাড়া আমরা কান পেতে দেখেছি। কোনো কথা শোনা যায় না। পরে আমরা গাছটি কেটে ফেলি।’ এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুল বলেন, ‘প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। এ সময় গাছ কাঁটা দেখতে ভিড় করেন এলাকাবাসী।’ তবে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার দাবি, গত এক সপ্তাহ আগে উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের গজিনা গ্রামে নিরব নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু গাছটিতে ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে গাছ বলে ওঠে ‘আমাকে মারিস না’। পরে সে এ ঘটনা পাশের একজন মহিলাকে বললে, বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দলে দলে এসে গাছে কান পেতে শোনার চেষ্টা করে সবাই। তাদেরও একই দাবি, গাছে কান পাতলে নারী কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কেউ সালামের উত্তর শুনছেন, আবার কেউ কান্না বা আর্তনাদের আওয়াজ শুনছেন। আবার অনেকেই বলছেন ভুয়া। কান পাতলে গাছ ও পাতা নড়ার শব্দ শোনা যায়। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক নাহমিনা বেগম বলেন, ‘গাছে কান পাতলে কথা শোনা যায় এটার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তবে গাছের একটি শক্ত নেটওয়ার্ক রুট রয়েছে। যা অনেকদূর নিয়ে বিস্তৃত। এর মাধ্যমে এক গাছ আরেক গাছকে উপকার করে থাকে। তবে গাছে কান পাতলে কথা শোনার বিষয়টি পুরোটাই কুসংস্কার।’
প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছে গাছ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য!
গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, নিহত ৫
মুকসুদপুরে ট্রাক-নসিমন সংঘর্ষ, নসিমনচালক নিহত
বাড়িতে বাবার মরদেহ রেখে পরীক্ষা দিলেন নাইম
ভূমধ্যসাগরে গোপালগঞ্জের তিন যুবকের স্বপ্ন ডুবি, শোকের মাতম
বিদেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে তিনজনের গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশ যেতে গিয়ে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হলো তাদের। এখন পরিবারের আশা সন্তানদের মরদেহ যেন বাড়িতে আসে, এক নজর যেন দেখতে পারেন শেষ দেখা। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামের পক্ষঘাতগ্রস্ত বাবা পান্নু শেখ অপেক্ষায় রয়েছেন ছেলে ইমরুল কায়েস আপনকে ফিরে পাওয়ার আশায়। তবে তিনি এখনো জানেন না ছেলে বেঁচে আছে না মারা গেছে। কেউ বলেছে হাসপাতালে আছে। কেউ বলেছে জেলে। আমি শুধু আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। ছেলেকে ফিরে পেলে আমার কোন অভিযোগ নেই। ছেলেকে না পেলে তারপর ব্যবস্থা নেব। তার একটাই চাওয়া তিনি যেন তার ছেলেকে ফিরে পান। একমাত্র ছেলের জন্য হা-হুতাস করছেন তিনি। কথাগুলো বললেন ইটালি যাওয়ার পথে তিউনেশিয়া উপকূলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ইমরুল কায়েস আপনের বাবা পান্নু শেখ। মা কেয়া কামরুন নাহার ছেলের মৃত্যুর খবর পেলেও জানাননি পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসুস্থ স্বামীকে। মা কেয়া কামরুন নাহার ছেলের শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন। তাই কারো সঙ্গে তেমন কোন কথা বলছেন না। শুধু ইমরুল কায়েস আপন নয় এমন করুন পরিনতির শিকার হয়েছেন একই উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ ও ফতেপট্টি গ্রামের রাসেল শেখ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামে ইমরুল কায়েস আপনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে শোকের ছায়া। জানা গেছে, বাবা পান্নু শেখ ২০০৪ সালে সৌদি চলে যান। ১৫ বছর পর ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে একটি কোম্পানিতে ড্রাইভারের চাকরি করতেন। এক বছর আগে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে বন্ধ হয়ে যায় আয় রোজগার। তাই সংসারের হাল ধরতে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ইমরুল কায়েস আপন ইটালি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে আত্মীয় রহিমকে ১১ লাখ টাকায় গত ১০ জানুয়ারি ইটালির উদ্দেশ্যে পাঠান ছেলে আপনকে। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া থেকে ট্রলারযোগে ইটালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আপন। পরে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে ছেলের মৃত্যুর খরর বাড়িতে আসলে নেমে আসে শোকের ছায়া।   পান্নু শেখ সৌদি থাকার সময় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী কেয়া কামরুন নাহার পাবনা বাবার বাড়িতে থাকতেন। ইমরুল কায়েস আপন পাবনাতেই পড়াশোনা করেছে। সেখান থেকে এসএসসিও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জি‌পিএ ৫ পে‌য়ে পাশ করার পর ভর্তি হন রাজশাহী এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।   শুধু আপন নয় একই চিত্র রিফাত শেখ ও রাসেল শেখের বাড়িতেও। তিন যুবকের মুত্যুতে শুধু পরিবার নয় গ্রামে জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতদের বাড়িতে ভীড় করেছেন গ্রামবাসী। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য দালালদের দৌরাত্ম কমাতে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।   নিহত ইমরুল কায়েস আপনের বাবা পান্নু শেখ বলেন, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ আশপাশের অনেকেই ইতালি যায়। তাদের সঙ্গে ছেলেকে পাঠিয়েছেন। তাকে পাঠিয়ে এখন মনে হচ্ছে ভুল করেছি। গত ৮ জানুয়ারি এক্সিম ব্যাংকের টেকেরহাট শাখার মাধ্যমে দালাল রহিমের কাছে এগারো লাখ টাকা পাঠাই। রহিম লিবিয়া থাকে। তার বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী ইউনিয়নের গজনা গ্রাম। জীবনের সঞ্চিত সব সম্বল দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। এখন কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
সরকারি অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমি দখলের অভিযোগ
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার টেংরাখোলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমিতে বাজারের স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি অবকাঠামো নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা টাঙানো থাকলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মুকসুদপুরের দক্ষিণ চণ্ডীবরদী গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিন সরদারের ছেলে এস এম পলাশ মাহমুদের দাবিকৃত জমিতে টেংরাখোলা বাজারে ওয়েট মার্কেটের জন্য আধাপাকা ভবন নির্মাণ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।  এস এম পলাশ মাহমুদ অভিযোগ করেন, তার জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে অনুরোধ করার পরও কেউ তার কথা শোনেনি। বরং জমির দখল ছেড়ে দিতে নানা রকম হুমকিও দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। পলাশ জানান, হাটবাজার বসানোর অভিপ্রায়ে ১৯৬৩ সালে আমার দাদা মৃত আজহার সরদারের কাছ থেকে বর্তমান টেংরাখোলা বাজার সংশ্লিষ্ট ৭০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। কিন্তু কোন টাকা পরিশোধ করেনি। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার জমিটি অবমুক্ত করে দেয়। এরপর থেকেই আমরা এই জমিতে দোকানপাট তুলে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনের যোগসাজশে জমি থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করতে আসলে আমি আইনি সহায়তা নিই। তিনি বলেন, জমির মালিকানা নিশ্চিত করতে ২০০৫ সালে সরকারকে বিবাদী করে মামলা করি আমরা। ২০০৯ সালে সেই মামলার রায় আমাদের পক্ষে দেন যুগ্ম-জেলা জজ আদালত। তারই প্রেক্ষিতে বাবা হয়ে ওয়ারিশ সূত্রে ১৮.৫৬ শতাংশ জমি আমার মালিকানায়। কিন্তু গেলো বছরের ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমার দোকানঘর ভেঙে ফেলে বাজারের অবকাঠামো নির্মাণের হুমকি দেন পৌর মেয়র। এর প্রেক্ষিতে আমি আবার আদালতের শরণাপন্ন হই। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অন্যদের নালিশি ভূমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ আমার বর্তমান দখল বজায় রেখে স্থিতি অবস্থা জারি করেন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন টানানো থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পকে ওয়েট মার্কেট নির্মাণের অনুমতি দেন পৌর মেয়র ও ইউএনও। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমার জমি প্রভাবশালীদের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুকসুদপুর পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম শিমুল বাজার নির্মাণের সঙ্গে সব ধরনের দায়বদ্ধতা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওয়েট বাজার নির্মাণের প্রজেক্ট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের, এখানে পৌরসভার কোনো হাত বা নিয়ন্ত্রণ নেই। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) অমিত কুমারের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলু এ জমি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এটি সরকারি খাস জমি। আমি আইন-আদালত ভালো বুঝি না তাই অবকাঠামো নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলুও এটাকে সরকারি খাস জমি বলে দাবি করে বলেন, খাস জমি রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের। তাই আমি একে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পরক্ষণেই জমিটি ব্যক্তিগত নামে রেজিস্ট্রেশন হবার কথা স্বীকার করে ইউনএও বলেন, ভুল করে সরকারের জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়েছে। এটা ফিরে পেতে আমরা মামলা করেছি। আশা করি রায় পক্ষে পাব। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন এই জমিতে কাজ শুরু হলো? -এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ইউএনও ইমাম রাজি টুলু।  
মুকসুদপুরে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, যুবক নিহত
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাজিব শেখ (৩৫) নামের এক প্রবাসী নিহত হয়েছেন।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মুকসুদপুর-বরইতলা সড়কের বাটিকামারীর খন্দকার পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ওই প্রবাসীর ছোট ভাই রানা শেখসহ (২৫) অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। নিহত রাজিব শেখ ও আহত রানা শেখ একই উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের কানুরিয়া গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে। দুই ভাই বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে মুকসুদপুর উপজেলা সদরে যাছিলেন। ১০ দিন আগে রাজিব শেখ দেশের বাড়িতে আসেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার ওসি আশরাফুল আলম। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি জানান, মুকসুদপুর থেকে বরইতলাগামী আরাফাত এন্টারপ্রাইজের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল ও বাসটি রাস্তার পাশে খাদে ছিটকে পড়লে ঘটনাস্থলেই রাজিব শেখ নিহত হন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী রানা শেখসহ বাসের অন্তত ১৬ যাত্রী আহত হন। তিনি আরও জানান, পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যান। গুরুতর আহত রানা শেখকে ফরিদপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।