• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে চড় মারলেন এসিল্যান্ড
গোপালগঞ্জে খাবার খেয়ে দুই শতাধিক শিশু-কিশোর হাসপাতালে ভর্তি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিশু-কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ শিশু-কিশোরদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের এজি চার্চের প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।  জানা গেছে, কান্দি এজি চার্চে সকাল ৯টা থেকে সংস্থাটির তালিকাভুক্ত ৩২০ জন শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সকল শিশু-কিশোরকে দুপুর ২টার দিকে বিরিয়ানি খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়। বিরিয়ানির প্যাকেট বাড়িতে নিয়ে শিশু-কিশোররা খাওয়ার পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।  পরবর্তীতে অসুস্থ শিশু-কিশোরদের নিয়ে অভিভাবকগণ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সর্বশেষ পাওয়া পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দুই শতাধিক শিশু-কিশোরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে। তবে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।  ধারাবাশাইল গ্রামের বিপুল রায়ের স্ত্রী সাথী রায় বলেন, ‘আমার চার মেয়ে ইষ্টিলা রায় (১১), এঞ্জেলা রায় (৯), সৃষ্টি রায় (৬), পল্লবী রায় (৩) সকালে এজি চার্চের অনুষ্ঠানে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওরা ওই প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে বাড়িতে আসে। পরে ওই বিরিয়ানি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ‌্যে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হলে তাদেরকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসি।’  কান্দি ইউনিয়ন এজি চার্চের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিপন কুন্দা বলেন, ‘আমাদের সংস্থার তালিকাভূক্ত ৩২০ জন শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক বড়দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদেরকে স্থানীয় ধারাবাশাইল বাজারের গোবিন্দ বোস হোটেল থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়। এ বিরিয়ানি খেয়ে প্রায় শতাধিক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’  এ বিষয়ে জানার জন্য ধারাবাশাইল বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী গোবিন্দ বোসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার দিকে বমি ও পাতলা পায়খানাজনিত সমস্যা নিয়ে শিশু-কিশোররা হাসপাতালে আসতে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগীদের চাপ বাড়তে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যজনিত সমস্যা থেকে এরা অসুস্থ হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে যথাসাধ‌্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’  আরটিভি/এমকে
‘মা নেই, আব্বু জেলে, আমাদের ৪ ভাই-বোনকে দেখবে কে’
কোটালীপাড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
প্রেমঘটিত কারণে হতাশায় দুই বন্ধুর আত্মহত্যা
গোপালগঞ্জে প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ৩
বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে যে কাণ্ড করলেন ৫ ভাই
বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। আবার বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে চলেও গেলেন। এই হেলিকপ্টার বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে উৎসুক জনগণই ছিল বেশি। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে একটি হেলিকপ্টার। এখান থেকে এই হেলিকপ্টারে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন বর মোরছালিন হাওলাদার (২৫)।  মোরছালিন হাওলাদার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে। প্রবাসী মোরছালিনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা ব্যবসায়ী কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন।  বর মোরছালিন হাওলাদারের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়া থাকি। এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আমি কনের বাড়িতে এসেছি। এ জন্য আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি। কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, একই এলাকায় আমি আমার মেয়ে ফারিয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের এখানে আসে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মোটরসাইকেলসহ অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের দুই পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করেছে। কোটালীপাড়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম দাড়িয়া বলেন, বুধবার বিকেলে উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা ইয়াদুল নিজামীর সঙ্গে কলেজের এক শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দিতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান ইয়াদুল। পরে ইয়াদুল গ্রুপের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, এরপর দুগ্রুপের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়। এ সময় কলেজ চত্বরে থাকা ১০-১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। কোটালীপাড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পদবঞ্চিত ইয়াদুল নিজামী জানিয়েছেন, সন্ধ্যার আগে তাদের গ্রুপের দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের লোকজন। আহতদের মধ্যে গুরুতর ইমন নিজামীকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ও তার ভাই ইব্রাহীমকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসব ঘটনার পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবিতে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ আলম জানান, সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।