• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের
হেলিকপ্টার দেখে ‘হাত নাড়িয়ে’ গ্রেপ্তার হন গোপালগঞ্জের প্রশান্ত 
ঢাকার একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার প্রশান্ত মালাকার। শুক্রবার (১৯ জুলাই) অফিস না থাকায় রাজধানীর ভাটারায় নিজের বাসাতেই ছিলেন তিনি। এ সময় ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার যেতে দেখে ছাদে গিয়ে হাত নেড়েছিলেন ২২ বছরের এ যুবক। এর কিছুক্ষণ পরেই বাসার ছাদে এসে তাকে ধরে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। বুধবার (৩১ জুলাই) কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই ছেলেকে গ্রেপ্তারের বর্ণনা দেন বাবা সুশান্ত মালাকার। তিনি বলেন, ‘গ্রামে বড় হয়েছে আমার ছেলে, জীবনে কোনোদিন হেলিকপ্টার দেখেনি। তাই হয়তো বাড়ির ছাদে উঠে হাত নেড়েছে। এ জন্য তারে ধরে নিয়ে যেতে হবে? আমরা কৃষিকাজ করি। পরিবারের কেউ কোনোদিন কোর্ট কাচারিতে যাইনি। এই প্রথম আমার নিরপরাধ ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। কী করে তাকে মুক্ত করব, এত টাকা কোথায় পাব, কিছুই জানি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে প্রশান্ত মেঝো। সহজ সরল ছেলে আমার, অনেক কষ্ট করে ইন্টার পাশ করিয়েছি। এ মাসেই ৬ হাজার টাকা বেতনে ঢাকায় একটা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়। ওকে পুলিশে ধরার একটু আগেও আমার সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছে বেতন পেলেই বাড়ি যাবে, জমিতেও আমার সঙ্গে কিছুদিন কাজ করে আসবে। এরপরই আমার ফুট্টুসকে (প্রশান্ত) পুলিশে নিয়ে যায়।’  তার রুমমেটরা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতো প্রশান্ত। কিছুদিন পর ফসল ওঠনোর সময় বাবাকে সাহায্য করতে বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এখন বিনা অপরাধে প্রশান্ত জেল খাটছেন।  এর আগে গত ২২ জুলাই বারিধারা উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুরসহ বিস্ফোরক আইনের মামলায় পুলিশ প্রশান্তকে আদালতে হাজির করে। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও প্রশান্তর জামিন নাকচ করেন আদালত। এ ব্যাপারে প্রশান্তের আইনজীবী রবিউল হোসেন বলেন, ‘আমরা আদালতে আর্টিকেল ৩৬ এর কথা বলেছি, যেখানে প্রত্যকে নাগরিকের বাংলাদেশের মধ্যে স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার রয়েছে। কিন্তু নিজের বাসার ছাদে হেলিকপ্টার দেখে হাত নাড়ার কারণে তাকে আটক করে তার সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।’
জিআই স্বীকৃতি পেল গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না
গোপালগঞ্জে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল যুবকের
নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভেঙে লাঞ্ছিত
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে শনিবার 
সংখ্যালঘুদের জমি দখল বেনজীরের, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আরজি রানা দাশগুপ্তের
সংখ্যালঘুদের জমি পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ যেভাবে দখল করেছেন, সেই বর্ণনা শুনতে ওই এলাকা ঘুরে দেখার অনুরোধ করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এ সময় তিনি গোপালগঞ্জে হিন্দুদের শত শত বিঘা জমি দখল করার অভিযোগ আনেন। রানা দাশগুপ্ত প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এলাকাটি আপনারই। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) একবার এলাকায় আসুন, আপনি দেখে যান, বেনজীর কীভাবে এখানকার সংখ্যালঘুদের জায়গা-জমি জবরদখল করেছেন। আমরা আবেদন জানাই, যাদের সম্পত্তিগুলো দখল করা হয়েছে, তাদের সম্পত্তিগুলো ফেরত দেওয়া হোক।’ শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জে বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ভুক্তভোগী লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন রানা দাশগুপ্ত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কৃষির ওপর নির্ভরশীল ওই এলাকার মানুষদের জমি দখল করে ফেলায় তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিশাল অর্থনৈতিক সংকট নেমে এসেছে। হিন্দুদের শত শত বিঘা জমি জোর করে, হুমকি দিয়ে, নানাভাবে চক্রান্ত করে বেনজীর দখল করে নিয়েছেন। শুধু দখলই করেননি, কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এমনভাবে চারদিকে বেষ্টনী করেছেন। যাতে অন্য কেউ ওই জায়গায় প্রবেশ করতে না পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলো এদের (বেনজীর ও জেনারেল আজিজ) কারণেই হয়েছে। হয়তো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সময় আমরা এই বিষয়গুলো জানতাম না বলেই অনেক সময় মনে করেছি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।’ এ সময় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল, মনিন্দ্র কুমার নাথ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার সাহা, পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সহসভাপতি শিপ্রা বিশ্বাস, সদস্য ডেভিড বৈদ্য প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইজিপি থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা (দুদকের তথ্য অনুযায়ী) জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ রিসোর্ট ও পার্কের সব জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের ভাষ্য, ভয় দেখিয়ে, জোর করে ও নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুদক তদন্ত শুরু করে। পরে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বেশ আলোচনায় রয়েছেন। এবার গোপালগঞ্জে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  সোমবার (৩ জুন) সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার থেকে আর পার্কে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং  ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের আইজিপি ছিলেন। এ সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক গড়ে তোলেন। পার্কটি করতে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি কেনা হলেও অভিযোগ আছে এটির সিংহভাগ জমিই দখল করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দুদক তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্রোকের নির্দেশ দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে ট্রাকের করে মালামাল সরিয়ে নেন বেনজীরের পরিবার। এদিকে এলাকাবাসী কিংবা ভুক্তভোগীরা গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বক্তব্য দিলে পার্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশ এনে হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে ইকোপার্ক-সংলগ্ন সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বিনোদ বিহারি বলের ছেলে বিপ্লব বল, সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল ও সাগর বল এবং ওই এলাকার রনি নামের এক যুবক আহতও হয়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, পার্কের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হলেও সোমবার থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বিরের জানান, ‘আপাতত পার্কের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্কের সার্ভারের সমস্যার কারণে দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করার যাচ্ছে না। যার কারণে কয়েক দিনের জন্য পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সার্ভার সমস্যা সমাধন হলে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পার্ক খুলে দেওয়া হবে।’
‘জীবনযুদ্ধে আমি পরাজিত’ স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষকের আত্মহত্যা
‘মাইগ্রেনের কাছে হেরে গেলাম। জীবনযুদ্ধে আমি পরাজিত’, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমনই একটা স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মান্না দে (৩২)। বুধবার (২২ মে) সদর থানার চন্দ্র দিঘলিয়া ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, শিক্ষক মান্না দে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার থানা পাড়া এলাকার বাবুল কুমার দের ছেলে। তিনি  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ সেশনের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। এরপর কর্মজীবনে তিনি গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগ দেন। মঙ্গলবার রাতে মান্না দে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘প্রতিনিয়ত মস্তিষ্কের নিউরনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। মাইগ্রেন এক অভিশাপের নাম। মাইগ্রেনের কাছে হেরে গেলাম। জীবনযুদ্ধে আমি পরাজিত।’ গোপালগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, দরজা ভেঙে দিঘলিয়া ভাড়া বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মান্না দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত মনে হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জে এসএসসিতে অকৃতকার্য হয়ে পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
গোপালগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করায় প্রিন্স হাসান মাহাতী নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।   রোববার (১২ মে) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মোহাম্মদ পাড়ায় বোনের বৈশাখী বেগমের ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।  প্রিন্স সদর উপজেলার মেরী গোপিনাথপুর গ্রামের শরীফ মহসিন আলী বেল্টুর ছেলে। তিনি এ বছর মেরী গোপিনাথপুর খন্দকার শামসুদ্দিন স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।  গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই বিপ্লব কুমার দাস বলেন, প্রিন্স হাসান মাহাতী এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গোপালগঞ্জ শহরের মোহাম্মাদ পাড়ায় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। তিনি গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনের কষ্টে সকলের অগোচরে বোনের ভাড়া বাসার ৫ম তলার একটি কক্ষে দরজা জানালা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।  তিনি আরও বলেন, দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
গোপালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়াকে শ্বাসরোধ করে স্বামী আশিকুর রহমান শেখ হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  রোববার (১২ মে) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মোছরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নুরী বেগম ওরফে মুনিয়া গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাগাইল চরপাড়া গ্রামের মুক্ত মোল্যার মেয়ে ও মোছরা গ্রামের আশিকুর রহমান শেখের স্ত্রী।  অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান।  তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ নিয়ে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়ার ওপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালাতো স্বামী আশিকুর রহমান শেখ। এ নিয়ে রোববার সকালে মুনিয়াকে বেদম মারধর করে এবং একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন মুনিয়াকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  তিনি আরও বলেন, মুনিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আশিকুর রহমান শেখকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে স্বামী কমলেশ বাড়ৈ (৪৫) হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কমলেশ বাড়ৈর স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ (৩৮) ও তার পরকীয়া প্রেমিক মন্মথ বাড়ৈ (৪০)।  জানা যায়, সুবর্ণার বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার তালপুকুরিয়া গ্রামে এবং মন্মথ বাড়ৈ ওই গ্রামের মহেন্দ্রনাথ বাড়ৈর ছেলে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি পলাতক রয়েছেন। মামলার বরাতে জানা যায়, কমলেশ বাড়ৈ কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার স্ত্রী গৃহবধূ সুবর্ণা বাড়ৈ একই গ্রামের মন্মথ বাড়ৈর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি স্বামী কমলেশ বাড়ৈ জানতে পারেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। সুবর্ণা বাড়ৈ ও তার পরকীয়া প্রেমিক কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০২০ সালের ২ মার্চ গভীর রাতে খাবারের সঙ্গে কমলেশকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘের পাড়ে মাটিচাপা দেয় তারা।  প্রায় ৩ মাস পর ঘেরপাড় থেকে কমলেশের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কমলেশের ভাই রমেশ বাড়ৈ বাদী হয়ে সুবর্ণা ও মন্মথকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে বিচারক সুবর্ণা ও মন্মথকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর। বিবাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এইচএম মহিউদ্দিন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আর আদালতে হাজির হননি। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।