• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
৪৪ মামলার আসামি ‘বোমা কুদ্দুস’ গ্রেপ্তার
কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে, ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ 
কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ১৫ গ্রামের বাসিন্দা ও স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে গিয়ে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। রাস্তাটির দেড় কিলোমিটার অংশজুড়ে এমন করুণ অবস্থা হলেও পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ নেই জনপ্রতিনিধিদের। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিবাদস্বরূপ এক ভিন্নধর্মী পন্থা অবলম্বন করেছেন গ্রামবাসীরা। চলাচলের ওই রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন তারা। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দারা এমন প্রতিবাদ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কদম আলী মোড়ল কান্দি থেকে মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা চলাচল করে। প্রত্যেক বছর বর্ষা মৌসুম এলেই বৃষ্টিতে কাদা জমে এসব গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গ্রামবাসী বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা। এতে প্রায় ১৫টি গ্রামের ৩০ হাজার বাসিন্দা ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এমন ভোগান্তির প্রতিবাদস্বরূপ রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন গ্রামবাসী ও পথচারীরা। শাহজাহান মাদবর নামে একজন বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা বিষয়টির গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গ্রামের শিক্ষার্থী ও রোগীরা পড়েন চরম বিপাকে। অন্যদিকে এমন রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মাহিন্দ্রা-ট্রাকযোগে ভারী মালামাল নেওয়া-আনা করা হয়েছে। এখন আর রাস্তাটি ব্যবহারের উপযোগী নয়, তাই আমরা গ্রামবাসী মিলে রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করেছি। মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ফুল মালা বলেন, এক মাসের বাচ্চা নিয়ে টিকা দেওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় আসার পরেই কাদায় পড়ে গিয়ে দুইজনই ব্যথা পেয়েছি। রাস্তা পাকাকরণের আগে এই রাস্তা দিয়ে যেন ট্রাক না চলে, সেই দাবি জানাই। অন্যথায় আমরা গাড়ির সামনে দাঁড়াব। পূর্ব নাওডোবা পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া, শিউলি ও বিপাশার সঙ্গে কথা হয় তারা বলে, জুতা খুলে হাতে নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে কাদা লেগে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বই-খাতা কাদায় পড়ে গেলে আর স্কুলে যেতে পারি না। রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ খান বলেন, রাস্তাটি এমন বেহাল হয়েছে সে বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। তবে রাস্তাটির সামনেই একটি কালভার্টের কাজ চলছে। সেখানে ট্রাক্টর দিয়ে মালামাল নেওয়ায় হয়ত রাস্তাটির অবস্থা একটু বেশি বেহাল হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় ধান লাগানোর বিষয়ে আমি জানি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় কেউ বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাকে জানায়নি। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে দেখব।
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু 
পানি পানের অজুহাতে শিশু ধর্ষণ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
জাজিরায় পদ্মা নদী থেকে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ভিডিও ধারণ, সাংবাদিকদের ওপর হামলায় আহত ১০
দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অতঃপর....
শরীয়তপুরের জাজিরায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন। গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন বেপারী জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য। জানা গেছে, গত শনিবার রাতে জাজিরার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের সৈয়দ তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়েতে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ তার সমর্থকদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাতে বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই দিন রাতেই তাজুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।  জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঈদের সকালে পুড়ে ছাই ২৫ দোকান
শরীয়তপুরের জাজিরায় আগুন লেগে অন্তত ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের সকালে উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মাঝিরঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাঝিরঘাট বাজারের মুদি দোকানি ইউনূস খাঁনের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই সেই আগুন পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে জাজিরা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর আগেই ইউনুস খান, হাসান মাদবর, তাজেল মাদবর, রাসেল মিয়া, মঙ্গল খাঁন, ছালাম মাদবরের মুদি দোকান, রাসেল মাদবরের মোবাইল রিচার্জের দোকান, স্বপন ফকিরের খাবারের হোটেলসহ অন্তত ২৫টি দোকান পুড়ে যায়। ভুক্তভোগী ইউনূস খাঁন বলেন, ‘ঈদের বেচাবিক্রির জন্য দোকানে অনেক টাকার মাল উঠাইছিলাম। আগুনে আমার সব শেষ হইয়া গেলো। আমি পথের ফকির হইয়া গেলাম।’  আরেক দোকানি ছালাম মাদবর বলেন, ‘ঈদের নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনি বাজারে আগুন লাগছে। দৌঁড়ে এসে দেখি আমার পুরো দোকান আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। কিছুই বের করতে পারি নাই। এখন সরকার থেকে যদি সাহায্য দেয় তাহলে আবার নতুন করে দোকান চালু করতে পারবো।’  শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের সেকেন্ড অফিসার ও জাজিরা উপজেলা ফায়ার ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। দুটি টিম আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলো। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। মূলত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে সরকারিভাবে যতটুকু সম্ভব উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়াবে। 
জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু
শরীয়তপুরের জাজিরায় প্রতিপক্ষের হামলায় ধলু বেপারী (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার বড় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ধলু বেপারী ওই এলাকার মৃত হুকুম আলী বেপারীর ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, মৃধাকান্দি এলাকার ধলু বেপারীর সঙ্গে প্রতিবেশী দুদু মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। এ বিষয়ে আদালতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি মামলাও চলমান আছে। আজ সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে পাট বুনছিলেন প্রতিপক্ষ দুদু মিয়া ও তার লোকজন। এ সময় সেখানে ধলু বেপারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় দুদু মিয়ার। এক পর্যায়ে ধলু বেপারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। পরে আহত অবস্থায় ধলু বেপারীকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ধলু বেপারীর পরিবারের লোকজনের দাবি, দুদু মিয়া বেপারী ও তার লোকজন আমাদের জমিতে জোর করে পাট মেস্তা বুনছিলেন। আমার শ্বশুর সেখানে গেলে তাকে মারধর করা হয়। মারধরেই তিনি মারা যান। আমরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুদু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।