• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে, ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ 
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু 
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে খোকন মাদবর (৩৬) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের সিডারচর এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত খোকন মাদবর উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের কাদির মাদবর কান্দি এলাকার নুরু মাদবরের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ওসি (তদন্ত) সুজন হক। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে পদ্মা নদীর বিভিন্ন অংশে চায়না দুয়ারি জাল পেতে রেখে বাড়িতে চলে আসেন খোকন। রোববার ভোরে তিনি সেই জাল তুলতে নদীতে নামেন। নদীতে জাল তুলতে গিয়ে খোকন মাদবর বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) সুজন হক বলেন, বজ্রপাতে খোকন মাদবর নামের এক জেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
পানি পানের অজুহাতে শিশু ধর্ষণ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
জাজিরায় পদ্মা নদী থেকে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ভিডিও ধারণ, সাংবাদিকদের ওপর হামলায় আহত ১০
দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অতঃপর....
ঈদের সকালে পুড়ে ছাই ২৫ দোকান
শরীয়তপুরের জাজিরায় আগুন লেগে অন্তত ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের সকালে উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মাঝিরঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাঝিরঘাট বাজারের মুদি দোকানি ইউনূস খাঁনের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই সেই আগুন পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে জাজিরা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর আগেই ইউনুস খান, হাসান মাদবর, তাজেল মাদবর, রাসেল মিয়া, মঙ্গল খাঁন, ছালাম মাদবরের মুদি দোকান, রাসেল মাদবরের মোবাইল রিচার্জের দোকান, স্বপন ফকিরের খাবারের হোটেলসহ অন্তত ২৫টি দোকান পুড়ে যায়। ভুক্তভোগী ইউনূস খাঁন বলেন, ‘ঈদের বেচাবিক্রির জন্য দোকানে অনেক টাকার মাল উঠাইছিলাম। আগুনে আমার সব শেষ হইয়া গেলো। আমি পথের ফকির হইয়া গেলাম।’  আরেক দোকানি ছালাম মাদবর বলেন, ‘ঈদের নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনি বাজারে আগুন লাগছে। দৌঁড়ে এসে দেখি আমার পুরো দোকান আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। কিছুই বের করতে পারি নাই। এখন সরকার থেকে যদি সাহায্য দেয় তাহলে আবার নতুন করে দোকান চালু করতে পারবো।’  শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের সেকেন্ড অফিসার ও জাজিরা উপজেলা ফায়ার ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। দুটি টিম আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলো। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। মূলত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে সরকারিভাবে যতটুকু সম্ভব উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়াবে। 
জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু
শরীয়তপুরের জাজিরায় প্রতিপক্ষের হামলায় ধলু বেপারী (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার বড় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ধলু বেপারী ওই এলাকার মৃত হুকুম আলী বেপারীর ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, মৃধাকান্দি এলাকার ধলু বেপারীর সঙ্গে প্রতিবেশী দুদু মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। এ বিষয়ে আদালতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি মামলাও চলমান আছে। আজ সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে পাট বুনছিলেন প্রতিপক্ষ দুদু মিয়া ও তার লোকজন। এ সময় সেখানে ধলু বেপারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় দুদু মিয়ার। এক পর্যায়ে ধলু বেপারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। পরে আহত অবস্থায় ধলু বেপারীকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ধলু বেপারীর পরিবারের লোকজনের দাবি, দুদু মিয়া বেপারী ও তার লোকজন আমাদের জমিতে জোর করে পাট মেস্তা বুনছিলেন। আমার শ্বশুর সেখানে গেলে তাকে মারধর করা হয়। মারধরেই তিনি মারা যান। আমরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুদু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।