• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
পদ্মায় এত পাঙাশ কখনো দেখেননি জেলেরা
শরীয়তপুরের পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, আটক ১৭
শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে চারটি বাল্কহেডসহ ১৭ জনকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।  বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্কহেডের মালিক চার প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ। এ সময় বাল্কহেডের মালিক আল আরাফ, আল কাফ, মোতালেব, এম বি জামানকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে জব্দ করা বাল্কহেডগুলো অকশনে বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করা হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত ১০টা থেকে আজ বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত পদ্মা নদীতে থানা ও নৌপুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন মোল্লা।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ বলেন, পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে কেউ যাতে বালু উত্তোলন করতে না পারে সেই লক্ষ্যে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আরটিভি/এএএ
বাংলাদেশের সোনার খনি হচ্ছে ইলিশ সম্পদ: ফরিদা আখতার
শরীয়তপুরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
স্কুলছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিনের কেক কেটে বাসায় ফিরে ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যা
স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন বাবা  
দুটি পরিবারের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিলো তাদের সন্তান চিকিৎসক হবেন। চিকিৎসক হয়ে বিয়ে করে ফিরবেন হেলিকপ্টারে চড়ে। অবশেষে দুটি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে হেলিকপ্টারে চড়ার মধ্য দিয়ে। পারিবারিকভাবে বিয়ে শেষে নববধূ তার শশুর বাড়ি আর বর তার নিজ বাড়ি ফিরেছেন হেলিকপ্টারে চড়ে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে উড়াল দেন বর-কনে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, নুরুজ্জামান বেপারী মেয়ে ডা. নীলিমা আফরিন নওমীর সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে ডা. তৌফিকুল ইসলামের বিয়ে ঠিক হয়। দুজন ঢাকার বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে নড়িয়া পৌর এলাকায় আতাউর রহমান কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে শনিবার দুপুরে কনের বাড়ি থেকে প্রথমে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি চড়ে নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আসেন নব দম্পতি। সেখান থেকে তারা হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় আশেপাশের এলাকা থেকে হাজারো উৎসুক জনতা হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমায়। কনের বাবা নুরুজ্জামান বেপারী বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর পাশাপাশি বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো। আজ সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিয়ে শেষে আমার মেয়ে হেলিকপ্টার করে তার শ্বশুরবাড়িতে গেছেন। সবাই আমার মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।  এ বিষয়ে বর ডা. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে বাবা-মায়ের দুটি স্বপ্ন ছিল। প্রথমে আমাকে চিকিৎসক বানাবে পরে বিয়ে শেষে বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি নিয়ে যাবে। বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কনে নীলিমা আফরিন নওমী বলেন, এর আগে কখনো প্লেন বা হেলিকপ্টারে উঠিনি। এ প্রথম আমি হেলিকপ্টারে চড়বো। আমার একটু অন্যরকম লাগছে। স্থানীয় একজন জানান, আমাদের এলাকায় এই ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠান আগে কখন হয়নি। হেলিকপ্টারে করে কনেকে নিয়ে বর যাচ্ছে নিজ বাড়ি। আগে কখনো সামনে থেকে হেলিকপ্টার দেখিনি তাই এখানে এসেছি এক নজর দেখতে। প্রথমে তারা ঘোড়ার গাড়িতে করে মাঠে আসেন। এরপর হেলিকপ্টারে করে চলে যান।
শরীয়তপুর-২ / প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের প্রিসাইডিং অফিসার ও এক পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।    রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ওই আসনের চরভাগা আক্কাস আলী হাওলাদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার রামভদ্রপুর আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহা. আব্দুস সামাদ নূরী ও পোলিং অফিসার আমেনা বেগমকে ক্লোজড করেন নির্বাচনী ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা যায়, চরভাগা আক্কাস আলী হাওলাদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুথের সংখ্যা ৮টি। কেন্দ্রটিতে ভোট চলাকালে পোলিং অফিসার আমেনা বেগম কয়েকজন বৃদ্ধ ভোটারের ভোট দিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার মুহা. আব্দুস সামাদ নূরী ও পোলিং অফিসার আমেনা বেগমকে ক্লোজড করে থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সখিপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান বলেন, তাদেরকে নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে ক্লোজড করে থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসার ও এক পোলিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা তারা সঠিকভাবে পালন করেননি। তবে থানা হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে জানি না।