• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
শীতার্তদের মাঝে কম্বল পৌঁছে দিলেন এসিল্যান্ড
ঋণের দায়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মো. আজগর বেপারি (৫০) নামে এক ব্যবসায়ী আম গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে সকালে উপজেলার ঘরিসার ইউনিয়নের বাহির কুশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আজগর বেপারি ওই গ্রামের মৃত্যু কালাচাঁন বেপারির ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজগর বেপারি স্থানীয় ঘরিসার বাজারের লেপ তোষকের ব্যবসাও করতো। ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের টাকার জন্য মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) খাইরুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আজগরের পরিবারের দাবি, ঋণগ্রস্ত হয়ে মানসিক হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।  আরটিভি/এএএ  
কীর্তিনাশা নদী থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরে ডোবায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুলিশ পরিচয়ে তিন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
পদ্মায় এত পাঙাশ কখনো দেখেননি জেলেরা
শরীয়তপুরের পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, আটক ১৭
শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে চারটি বাল্কহেডসহ ১৭ জনকে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।  বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্কহেডের মালিক চার প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ। এ সময় বাল্কহেডের মালিক আল আরাফ, আল কাফ, মোতালেব, এম বি জামানকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে জব্দ করা বাল্কহেডগুলো অকশনে বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করা হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত ১০টা থেকে আজ বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত পদ্মা নদীতে থানা ও নৌপুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন মোল্লা।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ বলেন, পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে কেউ যাতে বালু উত্তোলন করতে না পারে সেই লক্ষ্যে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আরটিভি/এএএ
বাংলাদেশের সোনার খনি হচ্ছে ইলিশ সম্পদ: ফরিদা আখতার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশের সোনার খনি হচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করতে হবে দেশের মানুষকে সচেতন করে মাছ ধরা থেকে বিরত রেখে। অভিযান দিয়ে তো মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যদি ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালিয়ে জেলেদের গ্রেপ্তার করতে হয়, তা হয় লজ্জার বিষয়।  শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে অনুষ্ঠিত সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ফরিদা আখতার বলেন, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সকলকে শরীয়তপুরের পদ্মার অভয় আশ্রমে মাছ ধরা থেকে এবং ইলিশ বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি সুরেশ্বর মাছ ঘাটকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।   শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, ঢাকা  মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহয়ের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্র, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।  শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর জেলে ও জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শরীয়তপুরের জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে। আরটিভি/এএএ-টি
শরীয়তপুরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় বসতঘর থেকে শাহিন শেখ (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, দুপুর ২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত শাহিন শেখ উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক এলাকার মৃত জাহেদ আলী শেখের ছেলে। স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শাহিন শেখ একাই তার নিজ ঘরে বসবাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে শেষ বারের মতো দেখেছিলেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর শুক্রবার তার সাড়াশব্দ না পেলে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন স্বজনরা। এ সময় তাকে খাটে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত দেখলে সন্দেহ হয়। বিষয়টি থানায় জানালে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। নিহতের বড় ভাই জামাল শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইয়ের শরীরে আঘাতের দাগ আছে। কেউ আমার ভাইকে ঘরের মধ্যে ঢুকে হত্যা করেছে। পরে তারা পেছনের বেড়ার টিন খুলে পালিয়ে যায়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, মরদেহটির হাতের একটি আঙুলে পোড়া দাগ ছিলো। তাই ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের  ফলাফল আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুলছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মৃত লালু সরদারের ছেলে ইব্রাহিম সরদার দুদুল (২০), একই গ্রামের আলম মাঝির ছেলে তুষার মাঝি (২২), সুরেশ্বর গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে মো. নাহিদ হাওলাদার (১৯) ও তাদের বন্ধু শাকিব হোসেন। জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। পরিবারের কেউ না থাকায় মায়ের সঙ্গে বোনের বাড়িতে থাকেন। ঈদের দিন সন্ধ্যায় নানা বাড়ি যাওয়ার পথে চন্ডিপুর ভিআইপি মোড় এলাকা থেকে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় দুদুল সরদার ও তুষার মাঝি নামের তুই তরুণ। তারা ওই শিক্ষার্থীকে সুরেশ্বর দরবার শরিফের পাশের একটি টিনের ঘরে নিয়ে দুদিন আটকে ধর্ষণ করে। শনিবার সকালে ওই দুই তরুণ আরও তিনজনকে ডেকে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুরে একটি অটোরিকশায় তুলে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে বোনদের কাছে বিষয়টি খুলে বললে তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতে ভিকটিমকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই সঙ্গে অভিযান চালিয়ে দুল সরদার, তুষার মাঝি, শাকিব ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বোন বাদী হয়ে মামলা করেন। ভুক্তভোগী বলেন, ঈদের দিন হেঁটে নানার বাড়িতে যাচ্ছিলাম। তখন দুদুল ও তুষার মাঝি আমাকে মুখ চেপে ধরে অটোরিকশায় সুরেশ্বর দরবার শরিফের কাছে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে আরও তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি অটোরিকশায় আমাকে পাঠিয়ে দেয়। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা লিমিয়া সাদিয়া বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সবধরনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল আসলে ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।    
বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিনের কেক কেটে বাসায় ফিরে ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যা
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জন্মদিন উদযাপন করে বাসায় ফিরে শেখ সুমাইয়া সুমু (২০) নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রী আত্মহত্যা করেছেন।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নড়িয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বৈশাখীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।   শেখ সুমাইয়া নড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি দুই নম্বর ওয়ার্ডের আবু বকর শেখের মেয়ে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ছিল শেখ সুমাইয়ার জন্মদিন। বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন শেষে রাতে বাসায় ফিরে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন তিনি। এরপর মধ্যরাত থেকে সুমাইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল আসা শুরু করে। রিংটোনের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যদের। তারা দরজার বাইরে থেকে সুমাইয়াকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। তবে রুমের ভেতর থেকে কোনো সারা না পেয়ে একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সুমাইয়ার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন তারা। বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আবু জাফর শেখ বলেন, সুমাইয়া সম্পর্কে আমার ভাতিজি হয়। ওদের বাসা থেকে ফোন পেয়ে রাতে দ্রুত আমি ছুটে যাই। ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকানো দেখে সবাই দরজা ভেঙে ফেলি। পরে ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। প্রেমঘটিত কারণে সুমাইয়া এই আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন বাবা  
দুটি পরিবারের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিলো তাদের সন্তান চিকিৎসক হবেন। চিকিৎসক হয়ে বিয়ে করে ফিরবেন হেলিকপ্টারে চড়ে। অবশেষে দুটি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে হেলিকপ্টারে চড়ার মধ্য দিয়ে। পারিবারিকভাবে বিয়ে শেষে নববধূ তার শশুর বাড়ি আর বর তার নিজ বাড়ি ফিরেছেন হেলিকপ্টারে চড়ে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে উড়াল দেন বর-কনে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, নুরুজ্জামান বেপারী মেয়ে ডা. নীলিমা আফরিন নওমীর সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে ডা. তৌফিকুল ইসলামের বিয়ে ঠিক হয়। দুজন ঢাকার বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে নড়িয়া পৌর এলাকায় আতাউর রহমান কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে শনিবার দুপুরে কনের বাড়ি থেকে প্রথমে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি চড়ে নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আসেন নব দম্পতি। সেখান থেকে তারা হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় আশেপাশের এলাকা থেকে হাজারো উৎসুক জনতা হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমায়। কনের বাবা নুরুজ্জামান বেপারী বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর পাশাপাশি বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো। আজ সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিয়ে শেষে আমার মেয়ে হেলিকপ্টার করে তার শ্বশুরবাড়িতে গেছেন। সবাই আমার মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।  এ বিষয়ে বর ডা. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে বাবা-মায়ের দুটি স্বপ্ন ছিল। প্রথমে আমাকে চিকিৎসক বানাবে পরে বিয়ে শেষে বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি নিয়ে যাবে। বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কনে নীলিমা আফরিন নওমী বলেন, এর আগে কখনো প্লেন বা হেলিকপ্টারে উঠিনি। এ প্রথম আমি হেলিকপ্টারে চড়বো। আমার একটু অন্যরকম লাগছে। স্থানীয় একজন জানান, আমাদের এলাকায় এই ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠান আগে কখন হয়নি। হেলিকপ্টারে করে কনেকে নিয়ে বর যাচ্ছে নিজ বাড়ি। আগে কখনো সামনে থেকে হেলিকপ্টার দেখিনি তাই এখানে এসেছি এক নজর দেখতে। প্রথমে তারা ঘোড়ার গাড়িতে করে মাঠে আসেন। এরপর হেলিকপ্টারে করে চলে যান।