ঢাকাবুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

ইমাম-মুয়াজ্জিন-মুফতি পরিচয়ে প্রতারণা, মাসে আয় ২ লাখ টাকা!

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ০৮ মার্চ ২০২২ , ০৪:৪৬ পিএম


loading/img
গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন

মসজিদের ভুয়া ইমাম, মুয়াজ্জিন, মুফতি ও হাফেজ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞাপন

আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

গ্রেপ্তাকৃতরা হলো- মো. শওকত আলী খান সাগর (৪৩), আব্দুল মান্নান শেখ (৪২), মো. আমিনুর রহমান (৩৯), মো. কামরুল ওরফে কামরুজ্জামান (৩৪) এবং আসাদুল্লাহ আল গালিব (২৬)।

বিজ্ঞাপন

সিআইডি কর্মকর্তা ইমাম হোসেন বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের ঢাকা শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম পরিচয় দিয়ে নামের সঙ্গে মুফতি ও হাফেজ টাইটেল ব্যবহার করে আসছিল। তারা বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের কাছে এই পরিচয়ে ফোন দিত। নিজেকে মসজিদের মুয়াজ্জিন পরিচয়ে তারা বলত, তাদের স্ত্রী ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। হাসপাতালে বিল বকেয়া পড়েছে। তাই লাশ দাফন-কাফন করতে পারছে না, টাকা প্রয়োজন। এভাবে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত তারা।’

তিনি জানান, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে নাম-ঠিকানা ও পদবি জেনে বড় মসজিদের ইমাম পরিচয় দিয়ে ফোন দিত তারা। এভাবে চক্রটি জন প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছিল। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বিষয়ে সিআইডির কাছে অভিযোগ করলে অনুসন্ধান শুরু করে তারা।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চক্রের মূলহোতা আব্দুল মান্নান শেখসহ চক্রের ৫ জনকে মিরপুর পল্লবী থানা ও তুরাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্লাব ও অ্যাসোসিয়েশন মেম্বারদের নাম-ঠিকানা ও ব্যক্তিগত তথ্যসহ মোবাইল নম্বর সংবলিত ডাইরেক্টরি উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে ঢাকার গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, ঢাকা গলফ ক্লাব, চিটাগং বোট ক্লাব, বারিধারা কসমোপলিটন ক্লাব, মহাখালী ডিওএইচএস কাউন্সিল, ঢাকা ইউনিভারসিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মেম্বারসহ মোট ৩৫টি ডাইরেক্টরি উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেপ্তারকৃতদের মোবাইলের বিকাশ নম্বরের স্টেটমেন্ট পর্যালোচনা করে সিআইডি দেখতে পায়, প্রতি মাসে প্রত্যেকে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকা এভাবে হাতিয়ে নিত। ডাইরেক্টরি বইয়ে কে কখন টাকা দিয়েছে, কে কখন দেবে, কে কেমন ব্যবহার করেছে ইত্যাদি কমেন্ট লিখে রাখত তারা। করোনাকলীন অর্থাৎ ২ বছরের অধিক সময় ধরে তারা এই প্রতারণা করে আসছে বলে জানা গেছে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |