ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে দাম নির্ধারণ করে রেখেছে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
জানা গেছে, সংগঠনটির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়ানো হবে। এতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ থেকে বেড়ে হবে ১৮৯ টাকা। তবে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম নির্ধারণ করলেও এখন পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মেলেনি।
বিষয়টি নিয়ে ৬ এপ্রিল ও ৮ এপ্রিল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পরিশোধন কারখানার মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।
তবে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকার নিচে নির্ধারণের পক্ষে। আর মিলমালিকদের চাওয়া ১৯০ টাকার বেশি। উভয় বৈঠকে দর-কষাকষি হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আগামী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় এ বিষয়ে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আবার বৈঠক বসছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রোববার (১৩ এপ্রিল) এক চিঠি পাঠিয়ে- টিকে, মেঘনা, সিটি গ্রুপের প্রতিনিধিদের মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ভোজ্যতেল কারখানা মালিক সমিতির সভাপতির কাছেও।
ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন রোববার (১৩ এপ্রিল) ট্যারিফ কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে নতুন দর নির্ধারণের কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১৮৯ টাকা হচ্ছে, যা এত দিন ১৭৫ টাকা ছিল। আর পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম হচ্ছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা ছিল। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন ও পামতেলের নতুন দাম প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা, যা ছিল ১৫৭ টাকা।
বিজ্ঞপ্তি আকারে দেওয়া এ চিঠিতে অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লার স্বাক্ষর রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে তিন পরিশোধন কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ করলে তারা জানান, দর বাড়ানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আগেই আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কর ছাড়ের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এ নিয়ে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ছয় মাস ধরে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। লম্বা সময় এ ধরনের সুযোগ বজায় রাখার বাস্তবতায় এনবিআরের নেই। আপাতত কর অব্যাহতির পক্ষে থাকাটা আমাদের জন্য কঠিন।
আরটিভি/একে