ঢাকারোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

শেখ হাসিনার রানিংমেট কাদের, আশরাফ প্রেসিডিয়ামে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৩ অক্টোবর ২০১৬ , ০৫:০২ পিএম


loading/img

অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। চমক দেখিয়ে তার রানিংমেট হলেন গেলোবারের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

অনেক জল্পনা-কল্পনার পর গুরুত্বপূর্ণ ওই পদ থেকে বাদ পড়লেন দু’বারের সফল সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। যদিও তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ২০তম সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন রোববার বিকেলে শেখ হাসিনা বর্তমান কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেয়ার পরপরই নির্বাচনী অধিবেশন শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

শুরুতেই সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। এ পদে আর কোনো নাম না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। এসময় আনন্দে ফেটে পড়েন উপস্থিত নেতারা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের অডিটরিয়াম।

এরপরই ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরে ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনার।

অন্যদিকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, আব্দুল মান্নান খান, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, কাজী জাফরুল্লাহ, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, নুরুল ইসলাম নাহিদের নাম।

বিজ্ঞাপন

নতুন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রহমান। এছাড়া গেলো বছরের ৩ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানককেও এ পদে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার বিকেল ৪টায় শুরু হয় দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে সভানেত্রীর রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সেখানেই অনুমোদন করা হয় দলের ঘোষণাপত্র। যা আগামী নির্বাচনে ছায়া ইশতেহার হিসেবে কাজ করবে।

নেতা নির্বাচন ছাড়াও দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন, দলীয় বাজেট, পার্লামেন্ট বোর্ডের সদস্য, স্থানীয় সরকার সদস্য অনুমোদন দেন ৬ হাজার ৫৭০ কাউন্সিলর।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ২০তম সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই পর্বে শেখ হাসিনা সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চান। তিনি বলেন, আমার বয়স ৭০ বছর। ৩৫ বছর দলের নেতৃত্বে ছিলাম। এখন আমার বিদায় নেবার পালা। আশা করি আপনারা নতুন নেতা নির্বাচন করবেন।
 
তখন কাউন্সিলররা শেখ হাসিনাকে সভানেত্রী পদে থাকার জোর দাবি জানান। পরে তিনি বলেন, এখন কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বিকেলে ভোট হবে তখন আপনারা নেতা নির্বাচন করবেন। আপনাদের হাতেই সব ক্ষমতা।

এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় ছিল দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই থাকছেন নাকি ওবায়দুল কাদের হচ্ছেন। যদিও ওবায়দুল কাদের আগে থেকে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবার তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। কিন্তু দলের কার্যকরী কমিটির মুলতবি বৈঠক থেকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় আসে ওবায়দুল কাদেরের নাম। সব জল্পনা-কল্পনা শেষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরই।

আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের মাধ্যমে বেশকিছু পদে পরিবর্তন আসছে, আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলেন দলের নীতিনির্ধারকরা। অভিজ্ঞদের পাশাপাশি দেখা যাবে নতুন মুখ। বাদ দেয়া হবে গেলো কমিটির নিষ্ক্রিয় ও বিতর্কিত নেতাদের। গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তাকে নেতৃত্বে দেখতে চেয়েছিলেন দলের নেতাকর্মীরাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে নেতৃত্বে আনা হলো না।

ধারণা করা হয়েছিল আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সভাপতিমণ্ডলীতে ফিরছেন। এমনটা ভেবে উজ্জীবিত ছিলেন তারাও। কিন্তু দিন শেষে মন খারাপ নিয়েই ঘরে ফিরতে হলো প্রবীণ এ রাজনীতিকদের।

এইচটি/ এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |