সড়ক দুর্ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। নিহত ইসমাইল ইমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধ কর্মসূচি হিসেবে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফলে দুই পাশে যানযট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গার মাধবপুরে গত রোববার বাস দুর্ঘটনায় আহত হন ইমন। পরে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান।
এ দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিচার ও গ্রেপ্তার দাবি করে সন্ধ্যায় মহাসড়ক অবরোধ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি দল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘সাকুরা পরিবহনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।’
বরিশাল মেট্রোপলিটনের দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ইমন গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে সাকুরা বাসে বরিশাল যাচ্ছিলেন। পথে ভাঙ্গার মাধবপুরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে আহত হন ইমন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর কল্যাণপুরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
