যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ইউজিসি অনুমোদন বহির্ভূত পদে নিয়োগ প্রদান করায় সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তারসহ ৬ শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে সম্প্রতি এ মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (২৮ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলার আসামিরা হলেন, যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার, অনুমোদনহীন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান সহকারী পরিচালক (হিসাব) শরিফুল ইসলাম (৪১), সাবেক উপপরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জি এম আনিছুর রহমান (৬৩), যবিপ্রবি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস (৫১), সাবেক কোশাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ আবুল হোসেন (৭২) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আজিজুল ইসলাম।
জানা যায়, মামলায় দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অনুমোদনহীন পদে নিয়োগ দিয়ে সরকারি ৫২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন অপর ৫ আসামির সঙ্গে যোগসাজশে আসামি মো. শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে এবং লাভবান করার মানসে দুর্নীতি, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে শরিফুল ইসলামকে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট অ্যান্ড একাউন্টস অফিসার পদে নিয়োগ প্রদান করেন। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারি তহবিল থেকে বেতন-ভাতা বাবদ সর্বমোট ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৫ টাকা সরকারি কোষাগার হতে উত্তোলনের সুযোগ করে উত্তোলন করে বর্ণিত পরিমাণ সরকারি অর্থের ক্ষতি সাধন করেন।
আরটিভি/এমকে