বছর দুয়েক আগে দেশে এসেছিলেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবানা। শোনা যাচ্ছিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপনির্বাচনে শাবানার স্বামী চলচ্চিত্র প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক মনোনয়ন চাইছেন।
স্বামীর জন্য এলাকায় গিয়ে ভোট চাইতে দেখা যায় শাবানাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওয়াহিদ সাদিক মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পাওয়ার কয়েক দিন পরেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান শাবানা। সে সময় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছিল বিষয়টি ঘিরে। এবার ফের আলোচনায় এই দম্পতি।
সম্প্রতি সিনেমা প্রযোজনার ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী এবং তার স্বামী প্রখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিক। ভারতের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ করবেন তারা। এই সিনেমায় নায়ক থাকবেন বাংলাদেশের শাকিব খান এবং নায়িকা হতে পারেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল অথবা বিদ্যাবালান।
এমনটাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওয়াহিদ সাদিক। এমন ঘোষণায় আবারও আলোচনায় তারা। আবারও সিনেমা প্রযোজনা করে অতীতের মতো চলচ্চিত্র শিল্পে নিজেদের অবদান রাখবেন এই দম্পতি এমনটাই প্রত্যাশা চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের।
১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শাবানা। এরপর তালাশসহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে নৃত্যশিল্পী হিসেবে দেখা গেছে তাকে। সহ-নায়িকা হিসেবে ‘বনবাসে রূপবান’ ও ‘ডাক বাবু’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। তখন তার পর্দা নাম ছিল রত্না।
এরপর ১৯৬৭ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘চকোরী’তে নাদিমের নায়িকা হয়ে পর্দায় আসেন তিনি। এসময় রত্মা থেকে তিনি হয়ে যান শাবানা। বাংলা ও উর্দু ভাষায় নির্মিত ‘চকোরী’ ব্যবসাসফল হয়।
তিন দশকের ক্যারিয়ারে নায়ক নাদিম, রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, জসীম, সোহেল রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে অসংখ্য ছবি উপহার দিয়েছেন।
ভাত দে, অবুঝ মন, ছুটির ঘণ্টা, দোস্ত দুশমন, সত্য মিথ্যা, রাঙা ভাবী, বাংলার নায়ক, ওরা এগারো জন, বিরোধ, আনাড়ি, সমাধান, জীবনসাথী, মাটির ঘর, লুটেরা, সখি তুমি কার, কেউ কারো নয়, পালাবি কোথায়, স্বামী কেন আসামি, দুঃসাহস, পুত্রবধূ, আক্রোশ ও চাঁপা ডাঙার বউ শাবানা অভিনীত উল্লেখযোগ্যে চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম।
শাবানা অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা ওয়াহিদ সাদিককে বিয়ে করেন শাবানা। ১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ করেই অজানা কারণে বিদায় জানান চলচ্চিত্রাঙ্গন। ২০০০ সাল থেকে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বসবাস করছেন তিনি।