ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে শোক জানানো হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) সরকারি দলের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাবও সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে সংসদ।
এর আগে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর নানান আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা শেখ হাসিনাও আলোচনায় অংশ নেন। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
নন্দিত এই নায়ককে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফারুক ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্রজীবনে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। নিষ্ঠা ও সাহসের সঙ্গে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রেখেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে, আমরা একে একে সব মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি।
গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সরকারপ্রধান আরও বলেন, চলতি সংসদে আমরা এতসংখ্যক সংসদ সদস্য হারিয়েছি, যা অতীতে কখনও ঘটেনি। তিনি এভাবে চলে যাবেন, তা কখনও ভাবিনি। আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক সইবার ক্ষমতা দিক।
তিনি বলেন, কেবল রাজনীতি নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে তার অবদান রয়েছে। তার মৃত্যু সংস্কৃতি অঙ্গনে বিরাট ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন তাঁর নাম নিতেই কেউ সাহস পাচ্ছিলেন না। তখন সাংস্কৃতিক কর্মীরা এগিয়ে এসেছিলেন। স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ফারুক ভূমিকা রেখেছেন।
পরে আকবর হোসেন পাঠানসহ মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী এই মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এ ছাড়া শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, হাবীব হাসান, তোফায়েল আহমেদ, আসাদুজ্জামান নূর, মেহের আফরোজ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।