• ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
logo

চোখের আলো ফেরার অপেক্ষায় প্রহর কাটছে নির্মাতা মাসুদ মহিউদ্দিনের

আরটিভি নিউজ

  ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:২১
সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সদা হাস্যোজ্জ্বল নির্মাতা মাসুদ মহিউদ্দিন। নির্মাণের পাশাপাশি প্রায় সময়েই পর্দায়ও দেখা যায় তাকে। অভিনয় করেছেন অনেক নাটক, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনচিত্রে। সব পরিচয় ছাপিয়ে একজন আন্তরিক মানুষ হিসেবেও তার সুপরিচিত আছে। সহকর্মীদের যেকোনো সংকটে এগিয়ে আসেন, পাশে থাকেন। সবার ভালোবাসার এই মানুষটির দুই চোখে এখন অন্ধকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ছোড়া গুলিতে চোখে গুরুতর আঘাত পান মাসুদ মহিউদ্দিন।

দেশজুড়ে তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। ন্যায্য দাবির বিপরীতে নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর মুহুর্মুহু গুলি আর প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দেখে নীরব থাকতে পারেননি কেউ। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন, নেমে এসেছিলেন রাজপথে। চুপচাপ ঘরে বসে থাকেননি শিল্পীরাও। প্রতিবাদ জানাতে অনেকেই নেমেছিলেন পথে। জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে, ছাত্রদের ওপর গুলির ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। মাসুদ মহিউদ্দিনও ছিলেন সে দলে।

গত ১৯ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরায় আন্দোলন চলাকালে আহত হন মাসুদ মহিউদ্দিন। পুলিশের ছররা গুলিতে দুই চোখে গুরুতর আঘাত পান। এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও হারিয়েছেন চোখের আলো। সেই থেকে অপেক্ষায় দিন কাটছে এ নির্মাতা ও অভিনেতার। কবে আবার দুচোখ ভরে দেখতে পাবেন পৃথিবীকে, আপনজনদের। ক্যামেরার লেন্সে একসময় যে চোখ রেখে তুলে আনতেন মানুষের গল্প, সমাজের অসংগতি আর সম্পর্কের গল্প; সেই চোখে এখন শুধুই অন্ধকার।

নির্মাতা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে চেয়েও ভিসা পাননি। তাই দেশেই চলছে চিকিৎসা। সম্প্রতি রেটিনা অপারেশন হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বাসায়ও ফিরেছেন। চোখের আলো ফেরার ব্যাপারে চিকিৎসকেরা আশার বার্তা শুনিয়েছেন তাঁকে। আবার কবে ফিরবে চোখের আলো, এ অপেক্ষায় কাটছে তার অষ্টপ্রহর।

এর আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাসুদ মহিউদ্দিন জানান, চোখের আলো ফিরবে এই আশায় অপারেশন শেষে প্রতিদিন ১৭/১৮ ঘন্টামাথা নিচু করে থাকতে হয়। আমার বেহুলা বলে, বিনয়ী হও... তাইতো আমি বিনয়ী, আমি প্রশান্ত।

প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে মাসুদ মহিউদ্দিন মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িত। নাটকের চরিত্র হয়ে বহুবার মঞ্চে উঠেছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে কাজ শুরু করেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। কাজ করেছেন অনেক গুণী নির্মাতার সঙ্গে। একটা সময় নিজেই পরিচালনা শুরু করেন। বানিয়েছেন ‘দিন চলে যায়’, ‘গোলাপি রং শাড়ি’, ‘এয়ারকম’, ‘মায়া’, ‘ডেথ এন্ড’, ‘আগুনপোকা’, ‘নির্বিকার মানুষ’সহ অনেক আলোচিত একক ও ধারাবাহিক নাটক। বানিয়েছেন ‘আনন্দী’, ‘প্রেমপুরাণ’, ‘বকুল কথা’সহ কয়েকটি সিনেমা।

আরটিভি /এএ /এআর

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে শিক্ষার্থীদের সময়মতো বিয়ের মাধ্যমে’
আমরা রক্ত দিচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে টাকা ভাগ করছে: হাসনাত
হাবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে হলের রুম দখলের অভিযোগ
এবার রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সারজিস আলম