জাকির হোসেনকে নিয়ে এ আর রহমানের আবেগঘন পোস্ট
চলে গেলেন উপমহাদেশের অন্যতম তবলা বাদক ওস্তাদ জাকির হুসেন (৭৩)। ভারতের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অগ্রগণ্য এই মহান শিল্পীর প্রয়াণ সঙ্গীতের একটি যুগের সমাপ্তি ঘটাল, যা শুধু ভারতীয় সঙ্গীত জগতেই নয়, বিশ্বের সব শ্রোতাদের জন্য এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর এক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিকে ওস্তাদ জাকির হুসেনের মৃত্যুতে শোকে ছেয়ে গেছে সামাজিকমাধ্যম। ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে তারকাদের শোকবার্তা দেখা যাচ্ছে একের পর এক। সেই কাতারে আছেন সংগীত শিল্পী এ আর রহমান।
কিংবদন্তী তবলাবাদক জাকির হোসেন মৃত্যুতে শোকবিহ্বল সংগীত শিল্পী এ আর রহমান। অতীতে একসঙ্গে কাজ করলেও কেন ওস্তাদের সঙ্গে আর জুটি বাঁধলেন না, এই একটাই আক্ষেপ রয়েছে এ সংগীত শিল্পীর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে রহমান লিখেন, জাকির ভাই ছিলেন একজন অনুপ্রেরণা। অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যিনি তবলাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। ওর চলে যাওয়া আমাদের সকলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার সঙ্গে আর কাজ না করতে পারার আক্ষেপটা রয়েই গেল। একসঙ্গে একটা অ্যালবাম করার পরিকল্পনাও করেছিলাম আমরা। যদিও কয়েক দশক আগে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তোমাকে সত্যিই মিস করব। জাকির ভাইয়ের পরিবার ও বিশ্বব্যাপী অগণিত ভক্ত-অনুরাগীদের এই কঠিন সময়ে শোক সামলানোর ক্ষমতা দিন, এটাই প্রার্থনা করটা
জাকিরের হাত ধরেই ভারত পেয়েছে গ্র্যামি পুরস্কার। ‘বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম’ হিসেবে পুরস্কৃত হয় ভারতীয় ব্যান্ড ‘শক্তি’র গানের অ্যালবাম ‘দিস মোমেন্ট’। বর্তমানে ‘শক্তি’ ব্যান্ডের প্রধান কণ্ঠশিল্পী হলেন শংকর মহাদেবন। তবলাবাদক হিসেবে ছিলেন জাকির হোসেন। বেহালায় গণেশ রাজাগোপালন এবং অন্য তালবাদ্যে ভি সেলভাগণেশ। গিটারে জন ম্যাকলকলিন। ২০২৩ সালের ৩০ জুন ‘দিস মোমেন্ট’ অ্যালবামটি মুক্তি পায়। মোট আটটি ট্র্যাক রয়েছে এই অ্যালবামে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম ওস্তাদ জাকির হোসেনের। ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে তবলার সফর শুরু তার। সাত বছর বয়সে একা মঞ্চে অনুষ্ঠান করেছেন তিনি।
আরটিভি/এএ/এআর
মন্তব্য করুন