হানি ট্র্যাপে নিয়ে চাঁদাবাজি,

১০ মাস পলাতক থাকার পর সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার গ্রেপ্তার, যা জানাল পুলিশ

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ , ০৪:১৩ পিএম


১০ মাস পলাতক থাকার পর সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার গ্রেপ্তার, যা জানাল পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত

হানি ট্র্যাপের মামলায় গত ১০ মাস ধরে পলাতক থাকা এক তরুণী ইনফ্লুয়েন্সারকে ভারতের আহমেদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ জুন) আহমেদাবাদ পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় তারকা ইনফ্লুয়েন্সার কীর্তি প্যাটেলকে।

সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হানি ট্র্যাপের মামলায় দীর্ঘ ১০ মাস ধরে পলাতক ছিলেন গ্রেপ্তার তরুণী। এক নির্মাতাকে ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কীর্তিকে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত বছরের ২ জুন সুরাটে শহরে কীর্তি প্যাটেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলায় তারকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

একজন কর্মকর্তা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার কীর্তির বিরুদ্ধে সুরাটে শহরের এক নির্মাতা হানি ট্র্যাপে আটকে রেখে কোটি কোটি টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন। এফআইআর-এ আরও চারজনের নাম উল্লেখ করা ছিল, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত ইনফ্লুয়েন্সারের বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলাও ছিল।

022_1750316980

বিজ্ঞাপন

সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ১৩ লাখ ভক্ত-অনুসারী থাকা কীর্তি গত ১০ মাস ধরে গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু কীভাবে দীর্ঘ এই দশ মাস পালিয়ে ছিলেন তিনি―এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। প্রতিবেদন বলছে, শহর ও ফোনের সিম কার্ড পরিবর্তন করে গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন কীর্তি। তবে পলাতক থাকার পরও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন। ছয়দিন আগেও ইনস্টাগ্রামে ভিডিও শেয়ার করেছিলেন এ ইনফ্লুয়েন্সার।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় বুধবার (১৮ জুন) ভাগ্য যেন অসহায় হয়ে পড়ে কীর্তির। আহমেদাবাদের সারখেজ এলাকায় ট্র্যাক করা হয় তাকে। সুরাট পুলিশ স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে তাকে।

Untitled-1

এ ঘটনায় ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ অলোক কুমার বলেন, দীর্ঘ ১০ মাস ধরে কীর্তি প্যাটেলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি আমরা। আমাদের টেকনিক্যাল টিম ও সাইবার বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় আহমেদাবাদের সারখেজে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি আমরা। পরে আহমেদাবাদ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ইনফ্লুয়েন্সার কীর্তির বিরুদ্ধে হানি ট্র্যাপ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। গত ১০ মাসে বিভিন্ন সময় লোকেশন পরিবর্তন করেছেন তিনি। আইপি ঠিকানা পরিবর্তন হতে থাকে, ফোন নম্বর ও সিম কার্ডও ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারে ইনস্টাগ্রামের সঙ্গেও সমন্বয় করেছি আমরা।

আরটিভি/এএ  -টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission