বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পাশে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণে পরামর্শক হিসেবে জাপানের ওরিয়েন্টাল কানসালটেন্স লিমিটেডকে নিয়োগে দিয়েছে সরকার। সেতুর ডিটেইল্ড ডিজাইন, দরপত্র সেবা ও সুপারভিশন করার জন্য কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি সই করেছে রেল মন্ত্রণালয়।
এদিকে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এলএনজি গ্যাস ২০১৮ সালের মার্চে দেশের পাইপ লাইনে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। এ গ্যাসের দাম কি হবে বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, যমুনা নদীর ওপরে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পৃথক বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ করবে সরকার। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পের ডিটেইল্ড ডিজাইন, দরপত্র সেবা ও সুপারভিশনে পরামর্শক হিসেবে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্স গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডকে মনোনীত করা হয়। কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে জাপানের চোদাই কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট লিমিটেড।
তাদেরকে সহযোগিতা করবে, এসিই কনসালটেন্স লিমিটেড। জাপানের অর্থায়নে এ সেতুর পরামর্শক নিয়োগ চুক্তিতে ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্স লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক রাওয়াই ইসি ও রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, শিগগিরই এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এদিকে, বিদ্যুৎভবনে এলএনজি আমদানি কার্যক্রমে অগ্রগতি ও এলএনজির মূল নির্ধারণ কৌশল নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এতে ব্যবসায়ীরা মূল্য সহনীয় রাখতে, ভর্তুকি ও প্রতিবেশী দেশগুলোর অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নেয়ার দাবি জানান।
তবে মূল্য নির্ধারণে সরকার আরো পর্যালোচনা করবে বলে জানান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী।
এসজে