পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আগামীকাল। ওই দিন তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দায়ের হওয়া মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে শুনানির পর প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য্য করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
এর আগে সবাইকে চমকে দিয়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ করে দেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার।
এরপরই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন ইমরান। সে অনুযায়ী পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এই প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীদলগুলো।
সোমবার শুনানিকালে বান্দিয়াল বলেন, ডেপুটি স্পিকার যতই সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা বলুন, তিনি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ করে দিতে পারেন না।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিক নিরঙ্কুশ আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে। ইমরান খান অভিযোগ করে আসছিলেন বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায় তার সরকারকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সুতরাং এটি ছিল অনুচ্ছেদ ৫ এর পরিপন্থী কাজ।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এর আগে বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানই দায়িত্ব পালন করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পরামর্শের জন্য ইমরান ও প্রধান বিরোধীদল পিএমএলের (এন) নেতা শাহবাজ শরিফকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
তবে শাহবাজ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তিনি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না। তিনি আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন।