রমজান মাসে আগ্রাসন-নিপীড়ন চালিয়ে আল-আকসাকে রণক্ষেত্রে পরিণত করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে পুরো অঞ্চলে ছড়াচ্ছে প্রতিহিংসার আগুন।
রোববার (৯ এপ্রিল) এ অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে জর্ডানের হুশিয়ারি পবিত্র স্থাপনায় আগ্রাসন বন্ধ না করলে ইহুদিদের পতন অনিবার্য।
আল-আকসা মসজিদে তারাবি ও ফজরের নামাজ আদায়ে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু সেই কড়াকড়ি আরোপকে বুড়ো আঙ্গুল দেখালেন ফিলিস্তিনিরা। রোববার রাস্তায় দাঁড়িয়েই ইবাদত সারলেন মুসলিম জনগোষ্ঠী।
খ্রিস্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডের দিন অনেকটা জোরপূর্বক আল-আকসা ঢোকেন প্রায় ৯শ ইহুদি। প্রার্থনা করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ। সেসময় নামাজরত মুসলিমদের কড়া নজরদারিতে রাখে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বহর।
এ বিষয়ে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আল রুদেইনাহ বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী উস্কানিমূলক আচরণের মাধ্যমে আল-আকসা প্রাঙ্গণকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। রমজান মাসে পবিত্র স্থাপনা এবং মুসল্লিদের ওপর হামলা চরম নিন্দনীয়। যা পুরো অঞ্চলে ছড়াচ্ছে অস্থিরতা। ইহুদিরা দফায় দফায় পরীক্ষা নিচ্ছে আমাদের। কিন্তু নিজ ভূমি ও আল-আকসার ব্যাপারে ফিলিস্তিনিরাও একরোখা।
জর্ডান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়মান সাফাদি বলেন, জেরুজালেম ও দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে অস্থিরতা ছড়ানোর জন্য ইসরায়েল অনেকাংশে দায়ী। আল-আকসা মসজিদে আগ্রাসন ও মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ না করলে ইহুদিদের অবনতি কেউ ঠেকাতে পারবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।