মনজুর পশতিনের মুক্তির দাবিতে হোয়াইট হাউসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পশতুন তাহাফুজ মুভমেন্ট (পিটিএম)।
শনিবার হোয়াইট হাউসের সামনের এ কর্মসূচিতে মনজুর পশতিন এবং অন্যান্য কর্মীদের ন্যায়বিচারের দাবি করা হয়। এর বাইরেও যারা পাকিস্তান নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দ্বারা বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদেরও ন্যায়বিচার দাবি করে আন্দোলনকারীরা।
পশতুন নেতাসহ আটক কর্মীদের মুক্তি দিতে পাকিস্তানকে বাধ্য করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের দাবিতে অনেক পশতুন কর্মী অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর তুরবাতে একটি বিক্ষোভে বক্তব্য রাখার জন্য পিটিএম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ আনে। আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ৫ জানুয়ারি তাকে আবার গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
পিটিএম জানিয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তীব্র নির্যাতনের পর পশতিনকে পাঞ্জাব প্রদেশের আটক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
এক্স এ তাদের পোস্টে পিটিএম খাইবার একাউন্ট থেকে জানানো হয়েছিলো যে, মনজুর পশতিনের স্বাস্থ্য সঙ্কটজনক। তিনি নৃশংস শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান এলাকার বাসিন্দা মনজুর পশতিন ২০১৪ সালে পশতুন তাহাফুজ মুভমেন্ট (পশতুন প্রোটেকশন মুভমেন্ট) প্রতিষ্ঠা করেন।
এক্স-এ এক পোস্টে পিটিএম ইউনাইটেড স্টেটস লিখেছে, আজকের তরুণরা মনজুর পশতিনের মধ্যে অনুপ্রেরণা খুঁজে পায়। নিপীড়নের বিরুদ্ধে আশার মূর্ত প্রতীক মনজুর। তারা ন্যায়বিচার ও সাম্যের জন্য একটি বিপ্লবের সূচনা করতে চায়। স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়ে এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চায় যেখানে প্রতিটি শিশু মর্যাদা ও স্বাধীনতার সাথে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
পাকিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ পশতুন। এদের বেশিরভাগেরই বসবাস খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ এবং আফগানিস্তান সীমান্তে।