গাজা-মিসর সীমান্ত করিডোর দখলে নেওয়ার দাবি ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ও মিসর সীমান্তের মধ্যকার ফিলাডেলফি করিডোর দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। কৌশলগত দিক থেকে এলাকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অঞ্চলটি দখলে নেওয়ার দাবি সত্য হয়ে থাকলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যত কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ড এবং মিসরের মধ্যে সীমান্ত বরাবর অবস্থিত একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনী বুধবার জানিয়েছে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করল ইসরায়েল।
বুধবার রাতে ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সরু ফিলাডেলফি করিডোরের ‘অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে নিয়েছে। সেখানে তারা এমন বিশটির মতো টানেল খুঁজে পেয়েছে যা হামাস অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করতো। মিসর এবং গাজার মধ্যে অবস্থিত এই বাফার জোনটি ১৯৭৯ সালের ইসরায়েল এবং মিসরের মধ্যে শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল।
এদিকে মিসরীয় টেলিভিশনে একটি সোর্সকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে নিজেদের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছে।
মিসরের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে আল কাহেরা নিউজ বলেছে ‘রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধকে প্রলম্বিত করা এবং ফিলিস্তিনি শহর রাফাহতে অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য হামাসের সঙ্গে মিসরের যোগসূত্রের অভিযোগ করছে ইসরায়েল।’
উল্লেখ্য, ফিলাডেলফি করিডোর একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল, যা মাত্র একশ মিটার প্রশস্ত। আর মিসর সীমান্ত থেকে গাজার দিকে ১৩ কিলোমিটারের মতো। মিসর এর আগে বলেছে, তারা আন্তঃসীমান্ত (উভয় সীমান্তের সাথে সংযুক্ত) টানেলগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে এগুলোর মাধ্যমে অস্ত্র চোরাচালান অসম্ভব।
মন্তব্য করুন