ঢাকাSaturday, 31 May 2025, 17 Jyoishţho 1432

হারিকেন ‘বেরিল’-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ক্যারিবীয় দ্বীপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪ , ১২:১৭ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

পূর্বাভাস মতোই মহাশক্তি নিয়ে ক্যারিবীয় উপকূলে আঘাত হেনেছে হারিকেন বেরিল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার গতিবেগে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের ইউনিয়ন দ্বীপে চার ক্যাটাগরির হারিকেন হিসেবে আঘাত হানে বেরিল। প্রবল ঝড়ে লন্ডভন্ড  হয়ে গেছে দ্বীপটি। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেরিলের তাণ্ডবে ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে ইউনিয়ন দ্বীপের সব বাড়িঘর। দ্বীপটিতে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। অনেকে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা এবং সেন্ট লুসিয়াতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়টির তাণ্ডব দেখে হতবাক হয়ে গেছেন স্থানীয়রা।

সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনসের কাছে অবস্থিত দ্বীপের প্রতিটি বাড়ি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মহাশক্তিশালী বেরিল তার ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে পুরো ইউনিয়ন দ্বীপে। দ্বীপটির বাসিন্দারা সবাই এখন গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে এক ভিডিও বার্তায়। সেইসঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তায় ভেঙে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

বিজ্ঞাপন

ভয়ার্ত কণ্ঠে স্থানীয় এক জেলে জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে এই অঞ্চলের বাসিন্দা তিনি। ২০০৪ সালের হারিকেন ইভানও তাদের এমন ক্ষতি করে যায়নি। হারিকেন বেরিলের মতো ভয়াবহ ঝড় তিনি আগে দেখেননি। ঝড়ের তাণ্ডবে তার সব কিছু তছনছ হয়ে গেছে। এখন তার থাকার জায়গাটা পর্যন্ত নেই।

তিনি আরও জানান, দ্বীপের ৯০ শতাংশই ধ্বংস করে গেছে ঘূর্ণিঝড়টি। বেরিলের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে বসবাসকারী জনগণের প্রয়োজনীয় খাবার, শিশুদের জন্য দুধ, স্যানিটারি পণ্য, প্রাথমিক চিকিৎসা ও আশ্রয় নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে।

ঝড় থামার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস ক্যারিবীয় দ্বীপজুড়ে হারিকেন বেরিলের আঘাতের সারসংক্ষেপ জানিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, বিপজ্জনক ও বিধ্বংসী হারিকেন বেরিল অপরিমেয় ধ্বংসের মধ্যে রেখে গেছে আমাদের দেশকে। যত দ্রুত সম্ভব ঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করা হবে।  

বিজ্ঞাপন
Advertisement

তবে দ্বীপের সংস্কার কাজ এবং এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী রালফ। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে প্রচুর আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রয়োজন হবে, বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থের দরকার হবে। এক বছর বা তারও বেশি সময় লাগবে সংস্কার কাজে। তাই আমাদের ধৈর্য্য সহকারে এ কাজে সরকারকে সহায়তা করতে হবে।
 

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |