হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাল লাখো ইসরায়েলি
লেবাননের বৈরুতে ওয়াকিটকি ও পেজার বিস্ফোরণে হিজবুল্লাহর একাধিক ঊর্ধ্বতন কমান্ডারসহ ৩৭ জনের প্রাণহানির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বড় ধরনের রকেট হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
হিজবুল্লাহর মুহুর্মুহু এই রকেট হামলায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলের রামাত ডেভিড ঘাঁটিসহ আশেপাশের এলাকায়। হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে ঘরবাড়ি ও এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে লাখ লাখ বাসিন্দা। এরই মধ্যে দেশটির উত্তরাঞ্চলের সব স্কুল ও সমুদ্র সৈকত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা।
এদিকে হিজবুল্লাহর রকেট হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে ১০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেন, ‘রকেটগুলো ধেয়ে আসার সময় ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলজুড়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিশুসহ লাখ লাখ মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এর আগে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, লেবানন থেকে ছোড়া রকেটে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের একাধিক স্থাপনা ও বাড়িঘরে আগুন ধরে গেছে। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাসহ উত্তর ইসরায়েলে বড় জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও হিজবুল্লাহর ক্রমবর্ধমান সংঘাতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকার বদলে লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ওপর তাদের সামরিক অভিযানের ফোকাস ঘুরে যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
মন্তব্য করুন