‘আফগানিস্তানে এনজিওতে নারীদের নিষিদ্ধ করা সম্পূর্ণ ভুল’
এনজিওতে নারীদের চাকরির বিষয়ে তালেবানের নিষেধাজ্ঞাকে ‘গভীরভাবে বৈষম্যমূলক’ বলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সম্প্রতি তালেবান সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, কোনো এনজিও যদি নারীদের চাকরি দেয়, তাহলে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হবে কিংবা তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এর আগে ২০২২ সালে একটি ডিক্রি জারি করেছিল তালেবান। নতুন বিবৃতিতে ওই ডিক্রি মেনে চলতে বলা হয়।
তালেবানের এই ঘোষণাকে সম্পূর্ণ ভুল আখ্যায়িত করে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক।
২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে তালেবান জানিয়েছিল নারীদের বিষয়ে তারা আগের দফার মতো কোনো কট্টরপন্থি অবস্থান গ্রহণ করবে না। কিন্তু এরপর তারা নারীদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা, বিভিন্ন চাকরিতে, এমনকি জনসমক্ষে গান গাওয়া বা কবিতা আবৃত্তিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক বলেন, অর্ধেক জনসংখ্যাকে বাইরে রেখে একটি দেশ উন্নতি করতে পারে না।
তিনি বলেন, আফগান কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক ঘোষণায় আমি গভীরভাবে শঙ্কিত। একটি মারাত্মক ভুল পথ নেওয়া হয়েছে। যখন দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ, তখন বেসরকারি সংস্থাগুলো সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আফগান কর্তৃপক্ষের (ডি ফ্যাক্টো) কাছে এই বৈষম্যমুলক ডিক্রি এবং সেই সাথে সব ধরনের পদক্ষেপ যা নারীদের শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, জনপরিসর যেমন স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশ বাধাগ্রস্ত করে এবং যা তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা খর্ব করে, তা বাতিলের আহ্বান জানান টুর্ক।
পার্ক এবং জনপরিসরে নারীদের চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সম্প্রতি এক ডিক্রিতে নারীদের জনপরিসরে গান হাওয়া এবং কবিতা আবৃত্তিও নিষিদ্ধ করা হয়। তবে তালেবানের দাবি, তারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেনি। ক্ষমতায় আসার পর ৯ হাজার নারীকে কাজে যোগদানের অনুমতি দিয়েছে বলেও দাবি এ সংগঠনটির।
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন