ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে সংঘাত। এ সংঘাত দিনদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দুই দেশই একে অপরকে লক্ষ্য করে শত শত মিসাইল ছোড়ার পাশাপাশি নিয়মিত ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ সেনাবাহিনীকে ইরানের বিরুদ্ধে ‘হামলা তীব্র’ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কার্টজ বলেন, বৃহস্পতিবার ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পর তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে ইরানের কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শেয়ার করা এক বিবৃতিতে কার্টজ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কথা উল্লেখ করে বলেন, কাপুরুষোচিত ইরানি একনায়ক তার সুরক্ষিত বাঙ্কারের ভেতরে বসে আছেন এবং ইসরায়েলের হাসপাতাল এবং আবাসিক ভবনগুলোতে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আমি ইসরায়েলের দিকে আসা হুমকি দূর করতে এবং আয়াতুল্লাহদের শাসনকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইরানের কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু এবং তেহরানের সরকারি স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করার জন্য আইডিএফকে নির্দেশ দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইরানের হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ইহুদিবাদীরা। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত এখনও চলমান রয়েছে।
আরটিভি/এফএ