ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

১২শ’ কোটি টাকা ফেরতের নির্দেশ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭ , ১১:০৯ এএম


loading/img

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেয়া ১২শ’ ৩২ কোটি টাকা ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ২০১০ সালে হাইকোর্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া এই টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শুনানি করেন আহসানুল করিম ও খায়রুল আলম চৌধুরী।  রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে  আলম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ হাজার ২শ’ ৩২ কোটি টাকা আদায় করেন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ টাকা ২শ’র বেশি পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ০৯০০ নম্বর হিসাবে জমা হয়।

১/১১ সরকার ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল জেমস ফিনলের কাছ থেকে আদায় করে ১শ’ ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ওই টাকা ১৬টি পে-অর্ডারে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের কনসোলিটেড ফান্ডে প্রথম জমা দেয়া হয়। এরপর ২২ এপ্রিল একই প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে আরো ১শ’ ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়।

বিজ্ঞাপন

২০০৭ সালের ২৮ মে থেকে ২০০৮ সালের ১১ জুন পর্যন্ত বসুন্ধরা গ্রুপের কাছ থেকে ২শ’ ৫৬ কোটি টাকা নেয়া হয়। ২০০৭ সালের ১৯ জুন থেকে একই বছরের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিসেস পারভীন হক সিকদার বাধ্য হয়ে সিকদার গ্রুপের পরিচালক ও সদস্যদের পক্ষ থেকে নয়টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ৪২ কোটি টাকা পরিশোধ করেন।

বিজ্ঞাপন

যে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে সেগুলো হলো যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের ৩০ কোটি, এমজিএইচ গ্রুপের ২৪ কোটি, বিএনপির প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের ২০ কোটি, কবির স্টিলের সাত কোটি, ব্যবসায়ী নুর আলীর ৪০ কোটি ৫০ লাখ, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের ৩২ কোটি ৫০ লাখ, সাগুফতা হাউজিংয়ের ২ কোটি ৫০ লাখ, হোসাফ গ্রুপের ১৫ কোটি, পারটেক্স গ্রুপের ১৫ কোটি, স্বদেশ প্রোপার্টিজের ৯ কোটি, ইসলাম গ্রুপের ৩৫ কোটি, কনকর্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৮ কোটি, ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের ১৭ কোটি, আবু সুফিয়ানের ১৪ কোটি, শওকত আলী চৌধুরীর ৬ কোটি, আশিয়ান সিটির ১ কোটি, পিংক সিটির ৬ কোটি ৪১ লাখ, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৯ কোটি ৪৫ লাখ, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের ১৫ কোটি, ওয়াকিল আহমেদের ১৬ কোটি, এবি ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ৩২ কোটি, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ২০ কোটি ৪১ লাখ, এলিট পেইন্টের ২৫ কোটি ৪৪ লাখ, এবি ব্যাংকের ১শ’ ৯০ কোটি, কনকর্ড রিয়েল এস্টেটের ৭ কোটি, জনৈক মালিকের ৪ কোটি এবং ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর ২ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এইচটি/এসএস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |