ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

বিনাদোষে ৪ বছর কারাগারে আরমান, মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৮:১২ পিএম


loading/img
বিনাদোষে ৪ বছর কারাগারে আরমান, মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের


পল্লবীর বেনারসি পল্লীর কারিগর মো. আরমান বিনাদোষে কমবেশি ৪ বছর ধরে কারাগারে। কারাগারে থাকা আরমানকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, অন্য আসামির বাবার নামের সঙ্গে আরমানের বাবার নামের মিল থাকায় মাদক মামলায় ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি পুলিশ মো. আরমানকে গ্রেপ্তার করে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন। এ ছাড়া মো. আরমানকে আসামি করার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

বিজ্ঞাপন

রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন রিটকারী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল ভুল আসামি হয়ে কারাগারে থাকা মো. আরমানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা ও মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পল্লবীর ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

আরমানকে কারাগারে বন্দি রাখা নিয়ে ‘কারাগারে আরেক জাহালম’ শিরোনামে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন রিট আবেদনটি করেছিল।

বিজ্ঞাপন

সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০০৫ সালের ৩০ আগস্ট রাতে পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ৮ নম্বর লেনের ৭ নম্বর ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিন এবং তার দুই সহযোগী সোহেল মোল্লা ও মামুন ওরফে সাগরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ। দুই বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান শাহাবুদ্দিন। কিন্তু তিনি আর আদালতে হাজির হননি। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর তিনি ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এই মামলায় বিচার শেষে ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রায় দেন ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে শাহাবুদ্দিনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু রায়ের দিন শাহাবুদ্দিন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে আবারও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি পুলিশ মো. আরমানকে গ্রেপ্তার করে। মূল আসামি শাহাবুদ্দিনের বাবার নাম ইয়াসিন ওরফে মহিউদ্দিন। আরমানের বাবার নামও ইয়াসিন। উভয় ইয়াসিনই মৃত। সেই থেকে কারাগারে আরমান।

এফএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |