ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

মা ও ছেলে হত্যাকাণ্ডের রায়ে কোরআনের উদ্ধৃতি দিলেন বিচারক

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ , ০৫:৫৭ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

রাজধানীর কাকরাইলের আলোচিত মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণায় বিচারক পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যায় স্বামীর নির্মমতার ভূমিকার ব্যাখ্যা দেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

বিচারক রায়ে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের যে সকল নিয়ামত দান করেছেন তার মধ্যে সুসন্তান অন্যতম। আবার সন্তানের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থলও তার পিতা। আর স্ত্রী হলেন সহধর্মিনী, অর্ধাঙ্গীনী ও সন্তানের জননী। সে কারণে প্রত্যেক স্ত্রী তার স্বামীর কাছে সম্মানের পাত্রী। স্বামীর নিকট স্ত্রীর রয়েছে বহুমাত্রিক অধিকার। স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআন শরীফে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে বলেন, ‘তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ’। (সূরা: ২ বাকারা, আয়াত ১৮৭)।

বিজ্ঞাপন

পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, এই মামলায় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড হলেন আসামি আ. করিম। যিনি নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী ও সাজ্জাদুল করিম শাওনের পিতা। নিজের অসৎ উদ্দেশ্য ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে আসামি শারমিন আক্তার মুক্তা ও আসামি মো. আল আমিন জনির সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পনা করে নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে নৃঃশংসভাবে হত্যা করিয়েছেন। সে কারণে সকল আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত মর্মে এই আদালত মনে করেন।

কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে আদালত আরও বলেন, ইসলাম শান্তি ও সত্যের ধর্ম। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের সূরা মায়িদাহ এর ৩২ নম্বর আয়াতে উল্লেখ রয়েছে ‘যে কেউ কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করে অন্য কোনো প্রাণের বিনিময় ব্যতীত কিংবা পৃথিবীতে কোনো ফ্যাসাদ সৃষ্টির অপরাধ ছাড়া, সে যেন সকল মানুষকে হত্যা করল। ’

বিজ্ঞাপন

এই অবস্থায় আদালত মনে করেন, মৃত্যুদণ্ডই এই আসামিদের উপযুক্ত ও একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত। সেহেতু এই আদালত সকল আসামিদের দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৩০২ ধারা ও ৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমান করা হলো।

বিজ্ঞাপন

এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |