রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন ডোম মুন্না ভগত (২০)। আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) তেজগাঁও থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আফসানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মর্গে মৃত নারীদের মরদেহ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় দায় স্বীকার করেন মুন্না। ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালতে স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
তেজগাঁও থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আফসানা আক্তার বলেন, রিমান্ড শেষে শনিবার মুন্নাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করলে বিচারক তা রেকর্ড করেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার (২৫ জানুয়ারি) আসামি মুন্না ভগতকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুই মামলায় সাতদিন করে মুন্নার ১৪ দিন রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। শুনানি শেষে দুই মামলায় মোট চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মর্গে মৃত নারীদের মরদেহ ধর্ষণের ঘটনায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই মো. আল আমিন বাদী হয়ে মুন্নার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপর ২৫ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই সনজিৎ কুমার ঘোষ বাদী মুন্নার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
এদিন মুন্না স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদের আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মুন্নার জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, মৃত নারীদের হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে নিয়ে আসার পর নিয়মিত ধর্ষণ করতেন ডোম মুন্না। ফলে মৃত নারীর ফরেনসিক রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। মৃত নারীর শরীর থেকে ডোমের শুক্রাণুর প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ধরনের ঘৃণিত কাজ নিয়মিত চালিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা প্রথম অবস্থায় তা বিশ্বাস করতে পারেনি। ধাপে ধাপে একই ধরনের ঘটনা যখন ঘটতে থাকে তখন চিকিৎসদরে মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে মুন্না ভগতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এফএ