চার ভাগের একভাগ কর্মী নিয়ে চলছে বিদ্যুৎ বিভাগের ১৫ প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকদের সেবা দিতে স্বল্প সংখ্যক কর্মীরা চাপের মধ্যে আছেন। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগে দ্রুতই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের ১৫ প্রতিষ্ঠানে ১১ হাজার ১শ’ ৬৯ পদেই কাজ করার জনবল নেই। কারণ করোনাভাইরাসের জন্য গত দুই বছর তেমন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এসময়ে অবসরে গেছেন অনেকে। ফলে এখানে জনবল শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন দ্রুত লোকবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগে জনবল সংকট থাকায় একজনকেই একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে করে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তরের ৪০ পদের ১১টি ফাঁকা। বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) ৫৫ পদের ৫৫টি ফাঁকা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ১৮ হাজার ৩৯৪ অনুমোদিত পদের বিপরীতে ১২ হাজার ৩১৬ পদে লোক থাকলেও ৬ হাজার ৮৪ পদই ফাঁকা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (আরইবি) এক হাজার ৬ ৮৫ পদের ২৫৩টি খালি, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) ৫ হাজার ৭৩৪ পদের ৩২৬টি, ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির (ডেসকো) ২ হাজার ৭৪ পদের ১৬৬টি, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ২ হাজার ৬৯৮ পদের ১০০৫টিই ফাঁকা।
বিদ্যুতের উৎপাদন কোম্পানির মধ্যে রুরাল পাওয়ার কোম্পানির (আরপিসিএল) ৪২২ জনের জনবল কাঠামোতে ৭৬টি পদে কাজ করার লোক নেই। নর্থওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিডিসি) ১ হাজার ৬৪ পদের বিপরীতে ২১৮ পদে কেউ নেই। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির (এপিএসসিএল) ৯৩৭ পদের ৭৫টি খালি, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশের (ইজিসিবি) ৫৫৬ পদের ৭৫টি খালি, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশের (সিপিজিসিবিএল) ৫৭৫টি পদের বিপরীতে ৪৪৭টি পদ খালি, বি-আর পাওয়ার জেনের ২৩১ পদের মধ্যে ৭৪টি খালি।
বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, জনবল সংকট বলা ঠিক হবে না, এটি ঘাটতি বলা উচিত। আমাদের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে জনবলের ঘাটতি রয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, প্রত্যেক মাসে একটি মূল্যায়ন সভা করা হয়। এবারের সভায় দ্রুত করে জনবল ঘাটতি কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছি।
এফএ