ঢাকাশুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

শেখ হাসিনার সবুজ সামুদ্রিক শিল্প উদ্যোগের জন্য আইএমও সমর্থন

আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ , ০৯:০৪ পিএম


loading/img

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সবুজ মেরিটাইম শিল্পের দিকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর এ উদ্যোগের প্রতি তাদের সমর্থন জোরদার করার জন্য প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) এবং প্রধান মেরিটাইম অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সবুজ মেরিটাইম শিল্পে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশ, ল্যান্ডলকড ডেভেলপিং কান্ট্রি (এলএলডিসি) এবং ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলিকে (এসআইডিএস) আইএমও এবং প্রধান মেরিটাইম অংশীদারদের কর্তৃক আর্থিক, প্রযুক্তিগত এবং জ্ঞান সহায়তা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) লন্ডনের আইএমও সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ১২৮তম আইএমও কাউন্সিল চলাকালীন বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি: দ্য রোড টু ডিকার্বনাইজেশন’ শীর্ষক ইভেন্টে এ আহবান জানান।

বিজ্ঞাপন

২০২৩ সালের মধ্যে হংকং কনভেনশন অনুসমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে নিরাপদ এবং পরিবেশগত ভাবে দায়িত্বশীল জাহাজ পুনর্ব্যবহার করার জন্য আইএমও’র SENSREC প্রকল্প ফেজ-III এর সাথে অংশীদারিত্ব করছে; এবং ইতিমধ্যে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাহাজ পুনর্ব্যবহারকারী দেশ হিসাবে ইস্পাত হ্রাস এবং পুনর্ব্যবহার করে বৈশ্বিক ডিকার্বনাইজেশনে যথেষ্ট অবদান রেখেছে।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং আইএমও-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু সমর্থক সরকার দেশের নৌপরিবহনকে ডিকার্বনাইজেশনের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং মিশন নির্ধারণ করেছে। যা প্রাথমিকভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে আইএমও’র GHG হ্রাস কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

তিনি একটি UNCTAD রিপোর্টসহ কিছু গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, একটি প্রধান জাহাজ পুনর্ব্যবহারকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ একাই প্রতি মেট্রিক টন ইস্পাতের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রায় ২০০০ কেজি CO2 হ্রাস করে, যা সামুদ্রিক শিল্পে কার্বনাইজেশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।

বিজ্ঞাপন

তিনি দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিপিং সেক্টরে সবুজ শিপিংয়ের জন্য নতুন প্রযুক্তি চালু করতে বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের জন্য পাইলট প্রকল্প শুরু করার জন্য আইএমও’র প্রতি আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আইএম’র মহাসচিব কিট্যাক লিম বাংলাদেশের জাহাজ পুনর্ব্যবহার, পরিবেশগত ও নিরাপত্তার মান উন্নত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের একটি সবুজ শিপিং শিল্পে রূপান্তরের জন্য আইএমও’র ক্রমাগত সহায়তার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের নৌপরিবহন, বন্দর ও নৌপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইএমও কাউন্সিলে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. সঞ্জীব রঞ্জন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ-যোগাযোগ পুরোপুরি পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানান; যা ডিকার্বনাইজেশনের দিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। তিনি দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দুর্দান্ত অগ্রগতি করেছেন তার জন্য তিনি তার প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. নিজামুল হক একটি সবুজ শিপিং শিল্প অর্জনে বাংলাদেশের রোডম্যাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

লন্ডনে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ও আইএমওতে স্থায়ী প্রতিনিধি মার্কো ফারানি, আইএমও জাপানের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি কোহেই আইওয়াকি, যুক্তরাজ্যে শ্রীলঙ্কার ডেপুটি হাইকমিশনার সামান্থা পাথিরানা এবং আইএমও’র ডেপুটি ডিরেক্টর তিয়ান বিং হুয়াং প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দ্বারা মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল স্যাটেলাইট অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক মঈন আহমেদকে ২০২৩ সালের আইএমও নির্বাচনে মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |