যশোরে মাটির নিচে ড্রামে পাওয়া কঙ্কালের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের কথা জানিয়েছে পিবিআই।
পিবিআই জানিয়েছে, গেল বছরের মে মাসে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুরাতন কসবা নিরিবিলির বজলুর রহমানের বাউন্ডারি দেওয়া ঘেরা জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় পরিত্যক্ত পুরাতন টয়লেটের রিং স্লাবের কুয়ার ভিতর একটি নীল রঙ্গের প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে মানুষের হাড়গোড় ও মাথার খুলি পাওয়া যায়। পিবিআই যশোর জেলা, এ ঘটনায় ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে।
ছায়া তদন্তে জানা যায়, খুলনার দিঘলিয়া থানার ফারুক হোসেনের ছেলে রাজীব হোসেন কাজী (৩২) চাচা হাসমতের বাসায় থেকে কাজ করত। ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ রাত আটটার দিকে খুলনার বাড়িতে আসছে বলে জানায় রাজীব। কিন্তু রাজীব বাড়িতে না গেলে তারপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাজীবের বাবা তার ভাই হাসমতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তারা জানায়, তারাও রাজীবকে পাচ্ছেন না। ফলে রাজীবের মা ও চাচা তাকে (রাজীব) যশোর শহরের বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকেন।
পিআইবি আরও জানায়, এ ঘটনার প্রায় ছয় বছর পর বজলুর রহমানের বাউন্ডারি দেওয়া ঘেরা জায়গার প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে মানুষের হাড়গোড় ও মাথার খুলি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে পিআইবি। আর কঙ্কালের সঙ্গে রাজীবের পরিবারের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং এ কঙ্কালের সঙ্গে রাজীবের বাবা ও মার ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। এরপর রাজীবের পরিবার যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যশোর পিআইবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিয়াউর রহমানের উপর মামলাটির তদন্তভার অর্পণ করা হয়।
এ ব্যাপারে জিয়াউর রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে নড়াইলের লোহাগড়ার মৃত নুর মিয়ার ছেলে মো. সালামকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
জিজ্ঞাসাবাদে সালাম জানায়, আসামিরা রাজীবকে হত্যা করে সালামের সহযোগিতায় মরদেহ গোপন করার জন্য ড্রামে ভরে তার ব্যবহৃত রিক্সায় করে পুরাতন কসবা নিরিবিলি পাড়া শেখ সজিবুর রহমানের অফিসের টয়লেটের কুয়ার মধ্যে ফেলে দেয়।