ঢাকাবুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে’

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ০৫:৩২ এএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্টদের একযোগে কাজ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ সব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তি পূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার প্রসারে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তার শিক্ষা দর্শন অনুসরণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার মতো সব শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা, বিনামূল্যে শিক্ষাদান ও পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং চালু এবং পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে লেখাপড়াকে আনন্দদায়ক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকারের নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাক্ষরতার হার ২০০৭ সালের ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ৯৮ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষার চাহিদা ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য এসেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদান জরুরি। 

তিনি আরও বলেন, শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আইসিটি বেইজড শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। আমি ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। বাসস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |