ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধে নোবিপ্রবিতে ৪ দফা দাবি 

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০২৪ , ০১:৩৭ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি এবং ক্যাম্পাসে সকল ধরনের সন্ত্রাস নিষিদ্ধসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার(৮ আগস্ট) সংগঠনটির সমন্বয়কবৃন্দ গণমাধ্যমকে দফাগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন।

দফাগুলো হলো- 

বিজ্ঞাপন

১) নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে সকল ধরনের সন্ত্রাস ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

২) ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক, হল প্রভোস্ট উল্লিখিত ব্যক্তিদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

৩) যে সকল শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে বা কোন শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়েছে কিংবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে তাদের আবাসিক হলের সিট আজীবনের জন্য বাতিল করে হল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। 

বিজ্ঞাপন

৪) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভিত্তিতে হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসব ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়নি। নিহত শিক্ষার্থীদের বিষয়েও তাদের কোনো সহানুভূতি ছিল না। তাছাড়া উল্লিখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা এই দাবি জানিয়েছি।

আরেক সমন্বয়ক আল জকি হোসাইন বলেন, সমন্বয়ক হিসেবে না বলে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বলবো আমার দেশ গঠনে আমরাই যথেষ্ট। আমাদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এবং উদ্যমী মনোবল পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের সমস্ত সীমাবদ্ধতা দূর করতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক অরাজকতা রুখতে এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদেরকে প্রকৃত শিক্ষা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যক্তিরা শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। এরা দলকানা এবং স্বার্থান্ধ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে তারা মেতেছিল নিজেকে নিয়ে। আর যেই প্রশাসন আমাদের কথা চিন্তা করতে দ্বিধাবোধ করে, তারা কখনোই প্রশাসনে থাকার যোগ্যতা রাখতে পারে না।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |