প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ব্যর্থ হয়েছে। ভারতকে সব দিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন তিনি। বললেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকেলে গুলশানে নিজের রাজনৈতিক অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেত্রী বলেন, ভারত সফরে শেখ হাসিনা শুধু আশ্বাস নিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছেন। দেশের জন্য কিছু নিয়ে আসতে পারেন নি। ৩৬ চুক্তি করেছেন যার সবই দিল্লির স্বার্থে। এ সফর পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে জনমতকে উপেক্ষা করে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছেন শেখ হাসিনা। আসছে দিনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে দেশের ওপর। এর মাধ্যমে দিল্লির নিয়ন্ত্রণ বাড়বে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষায়।
খালেদা জিয়া বলেন, জনগণ জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোনো চুক্তি চায়নি। গণবিচ্ছিন্ন চুক্তি করে তা চাপিয়ে দিলে দেশের জনগণ তা মানতে বাধ্য নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশের মানুষ তৃপ্ত নয়। জনগণ এ সফরে হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
বেগম জিয়া বলেন, শেখ হাসিনার ৪ দিনের ভারত সফরে কেবল দেয়ার জন্য। দিল্লি সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়নি। খর্ব হয়েছে দেশের সার্বভৌমত্ব। জনগণের দাবি সত্ত্বেও রামপালের বিষয়ে একটি কথাও বলেননি।
তিনি আরো বলেন, ভারত সফরের আগে দেশের নাগরিক ও সুশীল সমাজসহ কারো সঙ্গে আলাপ করা হয়নি। চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়গুলো নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। সফর শেষে জনগণের আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে আমরা চুপ হয়ে বসে থাকতে পারি না। প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকার দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না।
বিএনপি নেত্রী আরো বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ ছিল ন্যাক্কারজনক। তখনকার কংগ্রেস সরকার নগ্নভাবে সমর্থন দিয়ে অবৈধ এই সরকারকে ক্ষমতায় আনে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে ভারত। তাই সরকার দিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করে যাচ্ছে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন নতুন করে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। কাওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দেয়া কথা বলে সরকার প্রতারণা করেছে।
এইচটি/জেএইচ