• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo

বাহরাইনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

বাহরাইন প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৬

বাহরাইনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন হয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন। এরপর উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোচনা পর্বটি পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিশেষভাবে শিশুদের জন্য কোরআন প্রতিযোগিতা ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ স্কুল বাহরাইনের শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মহিউদ্দিন কায়েস তার বক্তৃতার শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন মহান নেতৃত্ব নয়, তিনি এদেশের জন্য ছিনিয়ে আনা লাল-সবুজের পতাকার একটি ইতিহাস। শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদি এবং অধিকার আদায়ে আপসহীন। তার অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার ফসল হিসেবে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম এবং তিনি বিশ্বাস করতেন শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা, দর্শন ও আর্দশকে বুকে ধারণ করে তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ তথা প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য সকল প্রবাসীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান মহিউদ্দিন কায়েস।

এছাড়া তিনি আজকের কোরআন প্রতিযোগিতা ও বক্তব্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করেন এবং শিশুদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
বদলে গেল বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম
বাতিল হওয়া বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি
বিজয় দিবসে নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান