বিগত ১৫ বছর ডিসেম্বর ছিল জুলুম ও নির্যাতনের মাস: ড. মাসুদ
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিগত ১৫ বছর ডিসেম্বর জুলুম ও নির্যাতনের মাস ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা জামায়াতে ইসলামি আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বিগত ১৫ বছর ডিসেম্বর মাস ছিল জুলুম ও নির্যাতনের মাস। এক ব্যক্তির (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) রেকর্ড করা বক্তব্য শুনতে শুনতে মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে। ঐ ব্যক্তির কথা ধরেই বলবো, তুমি রিয়েলিটি মেনে নাও। যে দেশে বসে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সেই দেশকেও বলবো রিয়েলিটি মেনে নিতে।
ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এই আগুনে বাংলাদেশের পতাকা পুড়ে নিজেদের কপাল নিজেরাই পুড়েছে। বাংলাদেশের হাই কমিশন কার্যালয় ভেঙে তারা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশকে অস্থির করে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না। ৫ আগস্টের আগের বাংলাদেশ আর ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশ এক নয়।
এরপর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে জাতি হিসেবে নিজেদের জাতিসত্তার পরিচয় তুলে ধরার, নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেওয়ার। যারা বাংলাদেশের দিকে চোখ রাঙাবে, বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণ একত্রে তাদের দিকে চোখ রাঙাবে। তারা চেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করতে। কিন্তু তাদের চক্রান্তের কারণে আমাদের ঐক্য আরও বেশি মজবুত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামির কর্মসূচিতেই ২০২৪ সালে দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে ড. মাসুদ আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামি যেই কর্মসূচিতে গঠিত হয়েছে এবং যেই কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে, ২০২৪ সালে সেই একই কর্মসূচিতে এ দেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে জামায়াতে ইসলামির নেতৃত্বে সকলকে এক কাতারে শামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ও মতিঝিল-শাহজাহানপুর জোন পরিচালক সৈয়দ সিরাজুল হক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী দফতর সম্পাদক এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়ক আবদুস সাত্তার সুমন, শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমির মো. সরোয়ার হোসেন, শহীদ আল্লামা দেলোয়ার হোসাইস সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী প্রমুখ।
আরটিভি/এসএইচএম
মন্তব্য করুন