ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার স্বীকারোক্তি আদায় করেছিলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা (ভিডিও)

অভি ইসলাম, আরটিভি নিউজ

রোববার, ৩০ আগস্ট ২০২০ , ০৭:৫২ পিএম


loading/img
ছবিঃ সংগ্রহীত

মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তির আদায়ে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের কথিত জিসা মনি 'হত্যাকাণ্ডের' ঘটনায়। কথিত এই হত্যাকাণ্ডের মতো সাজানো মামলায় গ্রেপ্তারকৃত রকিবের পরিবার এ অভিযোগ করেছে। এছাড়া মিথ্যা হত্যা ও ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেয়ার কথা বলে আলোচিত তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক শামীম আল মামুন তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ ভুক্তোভোগি পরিবারগুলোর। 

বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে জীবিত থাকার পরেও জিসামণিকে ধর্ষণ ও খুন করে শীতলক্ষ্যায় নদীতে ফেলে দেয়ার স্বীকারোক্তির পেছনে তদন্তকারী কর্মকর্তার হুমকি ছিলো বলে দাবি করেছে ভুক্তোভুগী পরিবারগুলো। জিসামণিকে জীবিত উদ্ধারের পর গ্রেপ্তারকৃত রকিবের ভাই জানান তার ভাইয়ের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পুলিশ স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত রকিবের মা এবং ভাই জানান, রিমান্ডে কম মারবে বলে টাকা নেয় পুলিশ। রকিবের মা জানান, পুলিশ আমার ছেলেকে অনেক অত্যাচার করেছে অথচ আমার ছেলে এই বিষয়ে কিছুই জানে না। এছাড়া মিথ্যা হত্যা ও ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেয়ার কথা বলে আলোচিত তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শামীম আল মামুন তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলেও দাবি ভুক্তোভুগী পরিবারগুলোর।

বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি। সেই কমিটি আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিবে। তদন্ত কর্মকর্তার কোনো ভুল আছে কি না যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবো। 

৪ জুলাই নিখোঁজ হয় জিসামণি। এক মাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। ৭ ও ৮ আগস্ট পুলিশ একই এলাকার রকিব, আবদুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেফতার করে। রিমান্ড শেষে কিশোরী জিশামনি কে ধর্ষণের পর হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেয় ২ জন। ২৩ আগস্ট সেই জিসা মনি জীবিত উদ্ধার হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এনএম

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |