ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে সিলেটের সীমান্ত এলাকা জকিগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজারের সুরমা, কুশিয়ারা নদীপারের হাজার হাজার মানুষ। এই শীতে নতুন করে ভাঙনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এসব এলাকায় জরুরি কাজ করে তেমন ফল পাওয়া যায়নি। এখানে প্রয়োজন বড় প্রকল্পের।
সুরমা কুশিয়ারার মিলনস্থল সিলেটের সীমান্ত উপজেলা জকিগঞ্জের নদীভাঙন যেন কমছেই না। এই শীতেও নতুন করে সুরমা নদীতে ভাঙতে শুরু হয়েছে, উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের মৌলভীরচক, চিনিরচক, হাজিগঞ্জ নোয়াগ্রাম, আইওর এলাকার বিভিন্ন জায়গা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ঘর নেই, থাকার কোনো জায়গাও নেই। বর্তমানে ২৯ বাড়ির ক্ষতি হয়েছে আর দুটি মসজিদ।
শুধু ঘর-বাড়ি নয় সুরমার ভাঙনে গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটিও বিলীন হওয়ার পথে। সরকারি কর্মকর্তারা আসেন, ছবি তোলেন তারপর চলে যান। কিন্তু কোনো কাজ হয় না বললেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, রাস্তা ঘাট ভেঙে গেছে। এখান থেকে অনেকে ছবি তুলে নিয়ে যায়। তবে কোনো কাজে আসে না। আমি প্রায় ৩০ বছর ধরে দেখছি এই জায়গাটি ভেঙে যাচ্ছে।
একইসঙ্গে চলছে সিলেটের কুশিয়ারা নদীর তাণ্ডব। এতে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার ৩ নম্বর দুবাগ ইউনিয়নের নয়াদুবাগ, ছরিয়া, হাজরাপরা, গয়লাপুর, মইয়াখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম বিপর্যয়ের মুখে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সিলেট জেলায় সুরমা নদীতে ৫৪টি কুশিয়ারা নদীতে ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙন রয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, সুরমা নদীতে ৫৪টি আর কুশিয়ারা নদীতে ৮টি স্থানে ভাঙনের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এই স্থানগুলোতে কাজ করা হবে খুব দ্রুত।
বাংলাদেশের মানচিত্র অক্ষুণ্ণ রাখার পাশাপাশি হাজার হাজার পরিবারকে রক্ষা করতে জরুরি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
জিএম/পি