সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
ফাইনালে দৃষ্টি ক্যাবরেরার
ভুটানকে হারিয়ে ১৪ বছর পর সাফের সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে স্বপ্ন বোনা শুরু হয়েছে ২০ বছর পর এশিয়ার বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের। ২০০৩ সালে প্রথম সাফের শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সেটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র সাফ শিরোপা। আগামীকাল (১ জুলাই) ফাইনালের টিকিট কাটার মিশনে প্রথম সেমি-ফাইনালে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-কুয়েত। বাংলাদেশ সময় সাড়ে তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
কুয়েতকে হারিয়ে সাফের ফাইনাল খেলাটা আপাতদৃষ্টিতে বেশ কষ্টসাধ্য। এটা অজানা নয় বাংলাদেশের কোচ এবং অধিনায়কের। কারণ, প্রতিপক্ষের সাম্প্রতিক সময়কার পারফরম্যান্স ও শক্তিমত্তা।
কিন্তু সব পরিসংখ্যান ও বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে জয়কে লক্ষ্য করে হাঁটছেন টাইগার কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। দুজনেরই একই কথা, ‘আমরা ফাইনালের জন্যই আগামীকাল মাঠে নামব।’
জামাল বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। তবে অতি-আত্মবিশ্বাস ভালো নয়। কুয়েতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। ভারতের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটা আমরা দেখেছি। আমাদের টিম মিটিংয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। ফাইনাল থেকে আমরা একধাপ দূরে। আমরা শুধু অংশ নিতে আসিনি, ভালোকিছু করতে এসেছি। বাংলাদেশের অনেক মানুষ আমাদের খেলা দেখছেন, দোয়া করছেন। আমাদের ভালো কিছু করার দায়িত্ব আছে, দায়িত্ব নিতে হবে। আশা করি ভালো কিছুই করতে পারবো।’
দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সেমিতে খেলার। সেটি পূরণ হয়েছে। এখন সেই সেমির ম্যাচে দলের অ্যাপ্রোচ নিয়ে ক্যাবরেরা বলেন, ‘অবশ্যই সেমিফাইনাল আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল। সেটা পূরণ হওয়ায় আগামীকাল আমরা শুধুই ম্যাচ উপভোগ করতে নামব না। আমাদের লক্ষ্য এখন ফাইনাল নিশ্চিত করা।’
কুয়েতের আক্রমণভাগটা বেশ শক্তিশালী। অপরদিকে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। তাই সেমির লড়াইটা হবে কুয়েতের ফরোয়ার্ড বনাম বাংলাদেশের ডিফেন্সের ভেতরও।
তবে এ নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না কোচ। বরং পরিকল্পনা সাজিয়ে সেটির প্রয়োগ কাল মাঠেই দেখাতে চান তিনি।
ক্যাবরেরা বলেন, ‘আমরা প্রতি ম্যাচের আগেই প্রতিপক্ষ নিয়ে বিশ্লেষণ করি। আমরা জানি তারা শক্তিশালী দল। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।’
মন্তব্য করুন