ঢাকারোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

‌‘বুড়ো’ ইউসুফ পাঠানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ফাইনালে মুশফিকরা

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩ , ০৮:৫৯ এএম


loading/img
ছবি- সংগৃহীত

প্রায় ৪ বছরের বেশি সময় ধরে ২২ গজে দেখা মেলে না সাবেক ভারতীয় হার্ডহিটার ব্যাটার ইউসুফ পাঠানের। ক্রিকেটের সঙ্গে থাকলেও অনেকটা আড়ালেই তিনি। ২০১৯ সালের ৪ মে সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলেছিলেন। ভারতীয় জাতীয় দলের জার্সিতে এরও প্রায় ৭ বছর আগে খেলেছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। সময়ের হিসেবে তাকে তাই বুড়োই বলা যায়। তবে তরুণদের ভিড়ে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ দেখিয়েছেন সাবেক এই ভারতীয়। এদিন ইউসুফ পাঠান যেন একাই খেলেন বিধ্বংসী ইনিংস।

বিজ্ঞাপন

ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট জিম-আফ্রো টি-টেন লিগে ২৬ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন ইউসুফ। এই ম্যাচে জয়ে পাওয়াই একপ্রকার অনিশ্চিত ছিল তাদের জন্য, সেখানে একাই ম্যাচটি টেনে নিয়ে যান তিনি। এতে ৬ উইকেটের জয়ে জিম-আফ্রোর ফাইনালে ওঠেছে মুশফিকুর রহিমদের দল জোবার্গ বাফেলোস।

এদিন ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জিম-আফ্রো টি-টেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে ডারবান কালান্দার্স। এই লক্ষ্য তাড়া করে জয় ছিনিয়ে আনা অনেকটা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল জোবার্গ বাফেলোসের কাছে। আগে ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে ফ্লেচারের ১৪ বলে ৩৯,  আসিফ আলীর ১২ বলে ৩২ ও নিকের ৯ বলে ২৪ রানের সুবাধে ১৪০ রান তোলে কালান্দার্স।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৫ রানেই জোড়া উইকেট হারায় জোবার্গ। ৮ বলে ১৭ রানে হাফিজ ও ৪ বলে ৪ রানে ফেরেন ব্যান্টন। ঝোড়ো শুরু করলেও দলীয় ৫৬ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন উইল স্মিদ। এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন রবি বোপারাও।

দলীয় ৫৭ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তখনও ২৯ বলে দরকার ৮৪ রান। তবে পরের ওভারেই লক্ষ্যটা কমিয়ে আনেন তারা। আকাশচুম্বী লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৭ ওভারে ৭৭ রান তুলেছিল জোবার্গ। 

শেষ তিন ওভারের জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ৬৪ রান। এরপর ইনিংসের অষ্টম ওভারে ইউসুফ পাঠানের ৩ ছক্কা ও এক চারে আসে ২৫ রান। দুই ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯ রান। এরপর ব্রাড ইভান্সের ওভারে দুই ওভার বাউন্ডারি ও এক বাউন্ডারিতে ১৯ রান তুলেন পাঠান। শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মুশফিক। এরপর স্ট্রাইকে আসেন পাঠান। এরপর ৬, ৪, ৬ ও ৪-এর মারে এক বল বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেয় মুশফিক-পাঠান জুটি। এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে জোবার্গ বাফেলোস। শেষ পর্যন্ত ৫ চার ও ৮ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন পাঠান। আর ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশি।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...

Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |