ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি
বেশ শক্ত ভিতই গড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। তবে সেই ফর্মটা ধরে রাখতে পারেননি মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা। এতে আশা জাগিয়েও বড় পুঁজি পায়নি টাইগ্রেসরা। শেষ পর্যন্ত মুর্শিদা খাতুনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৯ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন মুর্শিদা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরুই পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ঝোড়ো শুরু করেন দিলারা আক্তার। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ৬ বলে ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার।
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সোবহানা মোস্তারিও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ৪ বাউন্ডারিতে ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস সাজান এই ব্যাটার।
এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে এদিন ব্যর্থ হন আগের ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করা টাইগ্রেস দলপতি।
জ্যোতির বিদায়ের পরই মূলত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। ৬৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করতেই আরও ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপরই বৃষ্টি নামলে ৫ উইকেট ৬৯ রান নিয়ে দ্রুত মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বৃষ্টিতে প্রায় এক ঘণ্টা ম্যাচ বন্ধ থাকলেও দৈর্ঘ্য কমেনি ম্যাচের। আর নতুন করে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষটা ভালোভাবে রাঙাতে পারেননি বাংলাদেশও। মুর্শিদা একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে দ্রুতই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন-আপ।
শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ ওভারে ৪৯ বলে ৪৬ রানে থামেন মুর্শিদা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন