টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের গ্রুপ পর্ব থেকেই চমক দেখাচ্ছে আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড এবং সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার মত ক্রিকেট পরাশক্তিকে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে তারা। এরপর বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালের বড় মঞ্চে জায়গা করে নেয় তারা।
তবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে এসে তরী ডুবিয়েছে আফগানরা। মার্কো জনসেন, তাব্রাইজ শামসি এবং কাগিসো রাবাদাদের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় রশিদ খানের দল। জবাবে ৬৭ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে আফগানিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়।
এদিকে পুরো আসরজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা আফগানদের এমন বাজে হারে হতাশা ক্রীড়াপ্রেমীরা। রশিদ-নবিদের এমন হারের কারণ নিয়েও চলছে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ।
ম্যাচ শেষে আফগান কোচ জোনাথন ট্রটের ভাষ্য, ‘কিছু বলে আমি নিজেকে সমস্যায় ফেলতে চাই না। এটা এমন পিচ ছিল না যেটাতে সেমিফাইনালের মতো ম্যাচ আপনি চাইবেন। এটাই সোজাসাপ্টা ব্যাপার। এটা ফেয়ার প্রতিযোগিতা থাকা উচিত বল-ব্যাটের। আমি বলছি না একদম ফ্ল্যাট হবে, যেখানে স্পিন হবে না, সিম মুভমেন্ট হবে না। বলছি ব্যাটারদের ভীতির কারণ হয়, এমন হওয়াও উচিত না। ফুট মুভমেন্ট যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করতে পারে এমন হওয়া উচিত। দক্ষতা কাজে লাগানোর পরিস্থিতি থাকা উচিত।’
ট্রট যোগ করেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা খুব ভালো বল করেছে। পিচের আচরণ কাজে লাগিয়েছে। আমাদের মিডল-অর্ডার পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো করেনি। গুরবাজ আর ইব্রাহিম ছাড়া কেউ রান করছিল না।’
এদিকে সুপার এইটের ম্যাচ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই সেমিফাইনাল খেলতে মাঠে নেমেছিল রশিদ খানরা। ধারণা করা হচ্ছে, ক্লান্তি, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, সেমির ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগ না পাওয়াসহ নানান কারণে ঠিকমত পারফর্ম করতে পারেননি ক্রিকেটাররা।
এ নিয়ে ট্রট বলেন, ‘আমরা হোটেলে গিয়েছি রাত ৩টায়, সকাল ৮টায় ফ্লাইট ধরেছি। কেউ ঘুমায়নি, সবাই ক্লান্ত ছিল। সবাই আবেগের স্রোতেও ছিল, শারীরিক ধকলও ছিল। আমি আশা করি, ছেলেরা এই অভিজ্ঞতা থেকে শিখবে। আমরা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকে এটাতে একধাপ এগোলাম। এমন একটা পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পেসারদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হলো ব্যাটারদের।’