ঢাকাবুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

আজহারের নাম মোছার নির্দেশে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ০৭:৩৮ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। যার নামের পাশে মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে বিতর্ক যেনো লেগেই থাকে। এবারও তা আবার দেখা গেলো। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থাকে হায়দরাবাদের স্টেডিয়াম থেকে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজহারের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠে। 

বিজ্ঞাপন

বিচারপতি ভি ঈশ্বরাইয়া নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ড থেকে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম সরাতে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তেলঙ্গানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভারতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তার আবেদনের ভিত্তিতে ঈশ্বরাইয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

হায়দরাবাদের লর্ডস ক্রিকেট ক্লাব তাদের অভিযোগে জানায়, এখানে একটি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের সংঘাত) ছিল। কারণ, আজহারউদ্দিন নিজেই যখন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন, তখনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ শুনে ন্যায়পাল বিচারপতি ভি. ঐশ্বরিয়া হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে নর্থ প্যাভিলিয়ন স্ট্যান্ড থেকে আজহারউদ্দিনের নাম সরানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে আজহারউদ্দিনের নাম লেখা আর কোনো টিকিট ইস্যু না করারও নির্দেশ দেয়া হয়।হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার অধীনে থাকা ২২৬ সদস্যের মধ্যে এই ক্লাব একটি। তার পরেই সব খতিয়ে দেখে নির্দেশ দেন ঈশ্বরাইয়া।

ঈশ্বরাইয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ এপ্রিল তেলঙ্গানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আজহার। তিনি আদালতে জানান অম্বুডস্‌ম্যানের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। তার পর তিনি কী ভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেওয়া নির্দেশ কেন অগ্রাহ্য করা হবে না, সেই প্রশ্নও তোলেন আজহার। ভারতের সাবেক অধিনায়কের আবেদন খতিয়ে দেখে হাই কোর্ট বলেছে, উপ্পল স্টেডিয়ামের উত্তর দিকের স্ট্যান্ড থেকে আজহারের নাম এখনই সরানো যাবে না। 

এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর, প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রশাসন তাকে লক্ষ্যবস্তু করছে, কারণ তিনি তার মেয়াদে দুর্নীতি করতে দেননি। 

বিজ্ঞাপন

আজহার বলেন, “বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কখনও কখনও মনে হয়, ক্রিকেট খেলেই ভুল করেছি। এত দিন ধরে দেশের সেবা করেছি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। তার পরেও আমার নামে কালি লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে ক্রিকেট খেলারই অসম্মান করা হচ্ছে।” 

বিজ্ঞাপন

আজহারের অভিযোগ, হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলেই তার বিরুদ্ধে বার বার ষড়যন্ত্র হয়।

এর আগে, ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ‘প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজহারউদ্দিন বলেন, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এইচসিএ) এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে যাবেন। কারণ, আদালতের ওপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, অতীতেও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন

আজহারউদ্দিন আরও বলেন, তিনি ভারতের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং ভারতীয় জনগণ ও তার ভক্তদের ওপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে যে, তারা হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে যোগ্য জবাব দেবে। আমার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তার জবাব শুধু তার ভক্ত এবং আদালতই দিতে পারবে।

আরটিভি/এসকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |