ঢাকাশুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রিয়ালকে ৪৩ বছরের লজ্জার রেকর্ডে ডুবিয়ে শিরোপার আরও কাছে বার্সেলোনা

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১২ মে ২০২৫ , ০৮:৪৩ এএম


loading/img
এলক্লাসিকো। ছবি: বার্সেলোনা

চলতি মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল টান টান উত্তেজনা। তবে শেষ হাসিটা হেসেছে কাতালানরা। আর তাতেই ৪৩ বছর আগের লজ্জার রেকর্ডে পুড়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো এক মৌসুমে চার ক্লাসিকো হারলো রিয়াল মাদ্রিদ। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (১১ মে) ৭ গোলের ম্যাচে শুরুতেই রিয়ালের ২ গোলের লিড, এরপর বার্সেলোনার কামব্যাক। ঘরের মাঠে রিয়ালকে হারালো ৪-৩ গোলের ব্যবধানে। এতে বৃথা যায় কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক। ম্যাচের ৫, ১৪ ও ৭০ মিনিটে তিনটি গোলই করেন এই ফরাসি। 

বার্সেলোনার হয়ে ১৯ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন এরিক গার্সিয়া। ৩২ মিনিটে ইয়ামালের গোলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। তার ২ মিনিট পরই রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যায় তারা। ৪৫ মিনিটে ব্যবধান ৪-২ করেন এই ব্রাজিলিয়ান।

বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন


 
এদিন ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ওঠে রিয়াল। গোলের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। পঞ্চম মিনিটেই এমবাপ্পে লিড এনে দেন। বল নিয়ে বার্সার ডি-বক্সে ঢুকে পড়া এমবাপ্পেকে ঠেকাতে গিয়ে ফেলে দেন গোলরক্ষক সেজনি। রেফারি পেনাল্টির বঁশি বাজান। স্পটকিক থেকে বল জালে পাঠান এমবাপ্পে। 
 
১৪ মিনিটে রিয়ালের দ্বিতীয় গোল আসে ভিনিসিয়ুস-এমবাপ্পের যুগলবন্দীতে। ইয়ামালের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে লম্বা করে বাড়ান বল পেয়ে ওপরে ওঠেন ভিনি। এরপর ফাঁকায় থাকা এমবাপ্পেকে দারুণ  একটা পাস দেন। সামনে তখন শুধুই সেজনি। সহজেই তাকে পরাস্ত করেন এই ফরাসি। 

বিজ্ঞাপন
Advertisement

চলতি মৌসুমে রিয়ালের জার্সিতে ৫৩ ম্যাচে ৩৯ গোল করলেন এই ফরাসি। অভিষেক মৌসুমে রিয়ালের হয়ে এতো গোল করতে পারেননি কেউই। 

ND_LIGA_BARCELONA_RM_MBAPPE_CRONICA_HE13584
 
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে তেতে ওঠে বার্সা। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে। ১৬ মিনিটের পর বল রিয়ালের ডি-বক্সের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছিল। ইয়ামাল, জেরার্ড মার্টিনের একাধিক দূরপাল্লার শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দলকে বাঁচান কোর্তোয়া। 

কর্নার পায় বার্সা। ইয়ামালের নেয়া কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান এরিক গার্সিয়া। গোলের পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। যার প্রেক্ষিতে ৩২ মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। পেদ্রি বল বাড়িয়েছিলেন ফেরান তরেসকে। 

কিন্তু পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে এই স্ট্রাইকার জায়গা না পেয়ে কোনোমতে ইয়ামালকে বল বাড়ান। এই স্প্যানিশ হঠাৎ দৌড়ে বলের কাছে পৌঁছে বাঁকানো শটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। 
 
ইয়ামালের গোলের ২ মিনিটের মধ্যে আঘাত হানেন রাফিনিয়া। তার প্রথম গোলের দায় এমবাপ্পে ও দানি সেবায়োসের। বল পাস দিতে গিয়ে দুজনের সংঘর্ষ হয়। আর এই সুযোগে বল কেড়ে নেন পেদ্রি। লম্বা করে বাড়ান রাফিনিয়াকে। এই ব্রাজিলিয়ান ফাঁকায় দৌড়ে বল ধরে বাঁ পায়ের শটে কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন। 
  
৪৫ মিনিটে ব্যবধান ৪-২ করেন রাফিনিয়া। ৪৩ মিনিটে এমবাপ্পের পেনাল্টির আবেদন অফসাইডে বাতিলের পরপরই ১৮ গজের বক্সে বল হারান লুকাস ভাসকেস। সঙ্গে সঙ্গে বল কেড়ে নেন রাফিনিয়া। তরেসের সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন। 

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার ডেরায় বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে কাঙ্খিত সেই গোলটি আসে ম্যাচের ৭০ মিনিটে। বক্সের ভেতরে এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান ভিনিসিয়ুস। গোল মুখের সামনে থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। আর তাতেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফরাসি এই তারকা। 
 
এরপর বাকি সময়টা আক্রমণ চালায় দুই দলই। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের জয় পায় বার্সেলোনা। এ জয়ে লিগ শিরোপার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেলো হান্সি ফ্লিকের দল।

আরটিভি/এসআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |