ঢাকারোববার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

আইপিলে অবিক্রিত সেরা একাদশ

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১১:১৫ পিএম


loading/img

সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলামে দল পাননি অনেক তারকা ক্রিকেটার। অবিক্রিত এইসব তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসক্রিকইনফো থেকে শুরু করে ক্রিকট্র্যাকার সেরা একাদশ সাজিয়েছে। যেখানে অজি ক্রিকেটার অ্যারন ফিঞ্চ থেকে শুরু করে, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, ভারতের সুরেশ রায়নাও জায়গা করে নিয়েছেন। আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য সে একাদশ প্রকাশ করছি।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ আইপিএল। যেখানে খেলার জন্য সারা বিশ্বের ক্রিকেটাররা মুখিয়ে থাকেন। এই বছর আইপিএল ১০ দল নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে। আর এর জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেগা অকশান। দুদিনব্যাপী হওয়া এই নিলামে অবিক্রিত থাকা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া সেরা একাদশ নিচে দেওয়া হলো।

ইএসক্রিকইনফোর একাদশ

বিজ্ঞাপন

অ্যারন ফিঞ্চ: অস্ট্রেলিয়ার এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক টি-টোয়েন্টির হটকেক। এই ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ১৭২ রান তার দখলে। এমনকি সেরা পাঁচে আছে ১৫৬ রানের আরেকটি ইনিংস। তবে এবারের আসরে কোনো দলই কেনেনি ফিঞ্চকে। যদিও এর আগে এই অজি অধিনায়ক রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুনে ওয়ারিয়র্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট লায়ন্স, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন।

রহমানউল্লাহ গুরবাজ : আফগানিস্তানের এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার বর্তমানে দারুণ ফর্মে আছেন। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৮ ম্যাচে ৫৩১ রান আছে তার নামের পাশে। যেখানে স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর বেশি। ফলে সব দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে ডাক পেতে শুরু করেছে এই আফগান ক্রিকেটার। ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। এমনকি টি-টেনেও খেলেছেন কিন্তু আসন্ন আইপিএলে জায়গা হয়নি তার।

সুরেশ রায়না : চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ রান তার দখলে। ১৭১ ম্যাচে ৩৯টি ফিফটিতে করেছেন ৪ হাজার ৬৮৭ রান। ধোনির পর দলটির হয়ে খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ। আইপিএলের শুরু থেকে খেলা এই ক্রিকেটার ২০২০ সালে ব্যক্তিগত কারণে খেলেননি। না হলে প্রতি বছরে সুযোগ পেয়েছেন। যদিও গত বছর ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ১২ ইনিংসে করেছেন কেবল ১৬০ রান। এই কারণে হয়তো রায়না এবার ছিলেন উপেক্ষিত।

বিজ্ঞাপন

স্টিভেন স্মিথ : অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটারকে গত বছরও দিল্লি ক্যাপিটালস কিনেছিল ২ দশমিক ২ কোটি রুপিতে। তবে ব্যাট হাতে ছিলেন অফ-ফর্মে। ১৬ ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৫২ রান। এই বছর কোনো দলই কেনেনি স্মিথকে। যদিও ব্যাটহাতে আইপিএলে ১০৩ ম্যাচে ২ হাজার ৪৮৫ রান আছে তার।

বিজ্ঞাপন

সৌরভ তিওয়ারি : ৩২ বছর বয়সী ঝাড়খণ্ডের এই ব্যাটার আইপিএলে তিনটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ৭৪ ইনিংসে করেছেন ১ হাজার ৪৯৪ রান। ২০১১ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে শুরু। এরপর ২০১৪ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন। ২০২০ সাল থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলছেন। গত মৌসুমে অবশ্য করতে পেরেছিলেন ৫ ম্যাচে মাত্র ১১৫ রান।

এইউন মরগান : ইংল্যান্ডের এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক গত মৌসুমেও ছিলেন কলকাতার অধিনায়ক। তবে ১৭ ম্যাচে করতে পেরেছিলেন কেবল ১৩৩ রান। তাই এবার নিলামের টেবিলে ছিলেন উপেক্ষিত। কলকাতা ছাড়াও সানরাইজার্স ও পাঞ্জাবে খেলা এই ক্রিকেটারের ৭৫ ম্যাচে আছে ১ হাজার ৪০৫ রান।

সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব ২০১১ সাল থেকে নিয়মিত খেলছেন আইপিএলে। ২০১২ সালে কলকাতার হয়ে শিরোপা নির্ধারণী রান করেছেন এই টাইগার। জিতেছেন দুইটি আইপিএল কাপ। কলকাতা ও সানরাইজার্সের হয়ে আইপিএল খেলে এই ক্রিকেটারের কেকেআরের জার্সিতে ফর্ম ভালো যায়নি। ৮ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৪৭ রান এবং নিয়েছেন ৪ উইকেট। এবারই কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নজর দিল না সাকিবের দিকে।

পীযুষ চাওলা: ৩৩ বছর বয়সী এই লেগি আইপিএলে ১৫৭ উইকেট শিকার করেছেন। যা আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ছয় সিজন খেলেছেন পীযুষ। যেখানে নিয়েছেন ৮৪ উইকেট, যা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে এখনও সর্বোচ্চ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২০১৪ সালে জিতেছেন কাপ। এরপর চেন্নাই ও মুম্বাইতে খেলেছেন তিনি।

অমিত মিশ্র : এই লেগির আইপিএলে তিনটি হ্যাটট্রিক আছে নামের পাশে। তিনটা আলাদা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলা অমিত হ্যাটট্রিক করেছেন প্রতিটা দলের হয়েই। প্রথমটা দিল্লির হয়ে ২০০৮ সালে। এরপর ডেকান চার্জার্সের হয়ে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২০১১ সালে এবং ২০১৩ সালে সানরাইজার্সের পক্ষে। আইপিএলের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। সর্বোচ্চ ১৭০ উইকেট পাওয়া লাসিথ মালিঙ্গার চেয়ে ৪টা কম।

ইশান্ত শর্মা : আইপিএলে ৭২ উইকেট শিকারি এই ভারতীয় পেসার গত বছর খেলেছিলেন দিল্লির হয়ে। তবে এবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টানেনি তাকে। অবশ্য এর আগে ২০১৮ সালেও ছিলেন অবিক্রিত। এখন পর্যন্ত কলকাতা, ডেকান, সানরাইজার্স এবং পুনে সুপারজায়ান্টের হয়ে খেলেছিলেন ইশান্ত।

ধাওয়াল কুলকার্নি : ২০১১ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে প্রথম খেলেছিলেন আইপিএলে। এরপর থেকে প্রতি বছরে ছিলেন নিয়মিত মুখ। ২০১৩ সালে রাজস্থানে দুই বছর খেলে ২০১৫ সালে খেলেন গুজরাট লায়ন্সের হয়ে। যেখান থেকে আবার মুম্বাইতে ফেরেন ২০১৯ সালে। গত বছর সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ২ ম্যাচে।

এ ছাড়াও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের হটকেক বেন কাটিং এবং মুজিব উর রহমানও এবার অবিক্রিত থাকেন। ২০১৬ সালে সানরাইজার্সকে কাপ জেতাতে কাটিং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এখন পর্যন্ত ২১ টি আইপিএল ম্যাচ খেলে ২৩৮ রান এবং ১০ উইকেট নিয়েছেন কাটিং। এদিকে গত ৩ বছর ধরে আইপিএলে নিয়মিত মুখ আফগান ক্রিকেটার মুজিব। পাঞ্জাব এবং সানরাইজার্সের হয়ে ১৯ ম্যাচ খেলেছেন এই রহস্যময় স্পিনার।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |