‘থ্যাংকইউ, আলহামদুলিল্লাহ। সত্যি কথা বলতে আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আফিফের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেললে আজকের ম্যাচটা আমরা দুইজনের জিতাতে পারি। বাট বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।আমরা যদি বিশ্বাস করতে পারি এ ম্যাচটা জিতাতে পারব তাহলে অবশ্যই আমরা জিতব। মানুষ পারে না এমন কোনো কাজ নেই। খালি দরকার বিশ্বাস। বিশ্বাসটা ছিল এবং দর্শক যারা আছে অনেক সাপোর্ট করেছে’- কথাগুলো বলছিলেন দুর্দান্ত ইনিংস খেলা বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
তিনি আফিফ হোসেনের ব্যাটিং সম্পর্কে বলেন, অসাধারণ ইনিংস খেলেছে আফিফ। সত্যি কথা বলতে ওর ব্যাটিং দেখে আমার মনে কনফিডেন্স জাগে। কারণ, প্রথম দিকে আমি একটু নার্ভাস ছিলাম। বাট ও আমায় একটা কথা বলেছে যে, মিরাজ ভাই আমরা ক্রিকেট বল টু বল খেলি, যা হবে পরে দেখা যাবে। আমরা শুধু একটা ওভার ব্যাটিং করি। একটা ওভার একটা রান দুটা রান এভাবে করে করে আগালে তাহলে হয়তো ম্যাচটা আমরা জিততে পারব কি পারব না, সেটা পরের কথা। বাট আমরা একটা জায়গা নিয়ে যেতে পারব। ও অসাধারণ ব্যাট করেছে বলে জানান মিরাজ।
২১৬ রানের লক্ষ্য টপকাতে মাত্র ৪৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ দল। চাপে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে জয়ের আশা নিয়ে জুটি করেন আফিফ হোসেন আর মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুজনের অনবদ্য ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের স্বস্তির জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। দুজনে দলকে শুধু জেতাননি, বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন।
শুরুতে ফজলহক ফারুকির তোপে পড়ে বাংলাদেশ পাঁচ ওভারেই হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগে সাকিব আল হাসানও ফিরলেন বোল্ড হয়ে। এরপর পাওয়ারপ্লে শেষে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদউল্লাহও। তখন শুরু আফিফ-মিরাজের লড়াইয়ের। এরই মধ্যে দুজনে পেয়ে গেছেন ফিফটির দেখা।
এর আগে সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে নিয়মিত উইকেট হারালেও ৮৪ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান নাজিবুল্লাহ জাদরান। এ ছাড়াও রহমত শাহ ৩৪, হাশমতউল্লাহ শাহীদি ২৮ ও মোহাম্মদ নবি ২০ রান করেন।